অনলাইন বা অফলাইনে মিউচুয়াল ফান্ড রিডেম্পশন করা যায়। অনলাইনে করার জন্য ফান্ড হাউজের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে লগ ইন করতে হবে। আর অফলাইনে রিডিম করতে রিডেম্পশন ফর্ম পূরণ করে এএমসি বা এর রেজিস্ট্রার এবং ট্রান্সফার এজেন্টের কাছে জমা দিতে হবে। রিডেম্পশনের দিন বিনিয়োগকারী পাবেন ফান্ডের নেট অ্যাসেট ভ্যালু। এনএভি বা নেট অ্যাসেট ভ্যালু হল, ফান্ডের ইউনিট প্রতি মূল্য, এটি সাধারণত দৈনিক ভিত্তিতে গণনা করা হয়। মিউচুয়াল ফান্ড রিডিমের সময় কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের আগে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমতে পারে ? আশার কথা শোনাল সিএলএসএ
রিডেম্পশন প্রক্রিয়া: প্রত্যেক ফান্ডের রিডেম্পশন প্রক্রিয়া ভিন্ন। বিনিয়োগকারী যে ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন, তার রিডেম্পশন প্রক্রিয়াটা বুঝতে হবে। স্কিমের নথিপত্র ভাল করে দেখে নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৪১৬ টাকা বিনিয়োগ করেই পেয়ে যাবেন ৬৪ লাখ টাকা, কীভাবে দেখে নিন
মিনিমাম হোল্ডিং পিরিয়ড: বিনিয়োগকারী যে ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন তার মিনিমাম হোল্ডিং পিরিয়ড আছে কি না দেখতে হবে। যদি থাকে তাহলে সেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফান্ড রিডিম করা যাবে না।
এক্সিট লোড: অনেক ফান্ডে এক্সিট লোড থাকে। অর্থাৎ বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ফান্ড রিডিম করলে এক্সিট লোড হিসেবে টাকা দিতে হয়। এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
এনএভি: এনএভি প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। বিনিয়োগকারীকে দেখতে হবে, তিনি যেদিন ফান্ড রিডিম করছেন সেদিন এনএভি যেন বেশি থাকে। তবেই বেশি রিটার্ন মিলবে।
রিডেম্পশনের পদ্ধতি: দুরকম ভাবে মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট রিডিম করা যায়। এক, ফিজিক্যাল সার্টিফিকেট, টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়বে। দুই, সিস্টেমেন্টিক উইথড্রয়াল প্ল্যান।
কাট-অফ-টাইমিং: কাট-অফ-টাইমিংও মাথায় রাখতে হবে। একই দিনের এনএভি-র জন্য বিভিন্ন ফান্ডের আলাদা কাট-অফ-টাইম থাকতে পারে।