ভূপেশ পাল বলেন, জিআই ট্যাগ পেয়ে কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন। কিন্তু, কেউ যাতে এই ট্যাগের অপব্যবহার করতে না পারেন, সে জন্য একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিপণন বিভাগ একটি কমিটি গঠন করবে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এই কমিটিতে মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক, কৃষি দফতরের আধিকারিক, উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক, নাবার্ড এবং এফপিও-এর সদস্যরাও থাকবেন৷ এই কমিটি কৃষকদের জিআই ট্যাগ ব্যবহারের অনুমতি দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাপ ক্যাবে চলবে না এসি! তীব্র গরমেই ‘নো এসি’ নিয়ে সরব ওলা-উবের চালকরা, ভোগান্তি যাত্রীদের
ভূপেশ পাল জানান, যেই সমস্ত কৃষক এই জিআই ট্যাগ ব্যবহার করতে চান তাঁরা অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। কমিটি কৃষককে সার্টিফিকেট ও নম্বর দেবে। যখন কৃষকরা তাঁদের কাঠিয়া গম বাজারে বিক্রি করার জন্য প্যাক করবেন, তখন তাঁরা এই জিআই ট্যাগ নম্বর এবং কিউআর কোডটি প্যাকেটে মুদ্রন করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের নিশ্চিত করবে যে কাঠিয়া গম জিআই ট্যাগযুক্ত।
দার্জিলিং চা প্রথম জিআই ট্যাগ পেয়েছিল
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভাল যে, জিআই ট্যাগ হল একটি ভৌগোলিক ট্যাগ, যা সেই সমস্ত পণ্যগুলির জন্য ব্যবহৃত হয় যেগুলির একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক উৎস রয়েছে৷ এছাড়াও, এই পণ্যগুলিতে বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।
জানুয়ারি ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে ৪০০ টিরও বেশি জিআই ট্যাগযুক্ত আইটেম রয়েছে। ভারতে, দার্জিলিং চা ২০০৪ সালে জিআই ট্যাগ পায়। ২০২৩ সালে, উত্তরপ্রদেশের ৭টি পণ্য জিআই ট্যাগ পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢোলক থেকে গৌর পাথর, বেনারসের শাড়ি, লখনউ থেকে আম এবং প্রয়াগরাজের পেয়ারাও জিআই ট্যাগ পেয়েছে।