ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাঁচামি গ্রামে বিঘার পর বিঘা জুড়ে চোখ তাকালে শুধুই দেখা যাচ্ছে সবুজ করলার চাষ। সকাল বিকাল করলা তুলতে ব্যস্ত চাষীরা কারণ তাদের করলা পাড়ি দিবে দিল্লি। করলা বাড়িতে তুলে এনে প্যাকেট করে সেই করলা বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে হচ্ছে দিল্লি।
আরও পড়ুন: প্রস্রাবের পরপরই ঢকঢক করে জল খাচ্ছেন? কিডনির দফারফা হচ্ছে নাকি? ভুল করার আগে এখনই জানুন
advertisement
পাঁচামি এলাকার চাষীদের এখন শুধু এটাই কাজ। কারণ যত বেশি বিক্রি হবে ততই পকেটে ঢুকবে লক্ষী, আর সংসারে আসবে আলো। তাই এখন পাঁচমি গ্রামে এখন আট থেকে আশি সবাই শুধু মাঠ থেকে করলা তুলে এনে প্যাকেটিং করে রপ্তানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আমাদের রাজ্য শস্য শ্যামলায় পরিপূর্ণ। সারা বছর কিছু না কিছু চাষ হয়েই থাকে প্রত্যেকটি জেলায়। ঝাড়গ্রাম জেলাও ব্যতিক্রম নয়। এই জেলা কৃষিপ্রধান জেলা। সারা বছর ই নানা চাষ বাস করে থাকেন এখানকার চাষীরা। বেশির ভাগ তাই ধান চাষ। কিন্তু এই ধান চাষের ক্ষেত্রে আউস, এমন এই চাষ বেশি হলেও বোরো কিন্তু খুব একটা হয়না। আর তখনই এই সময় ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের সবজি, ফলের চাষে মেতে ওঠেন চাষীরা। ঠিক তেমনি ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাঁচমি এলাকার চাষীরা এখন করলা চাষে মেতে উঠেছে।
চাষিদের চাষের করলা যেমন স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে ঠিক তেমনি ভিন রাজ্যেও বিক্রির জন্য দিন রাত এক করে দিচ্ছে। কারণ স্থানীয় বাজারে যে দাম তারা পাচ্ছে তার চেয়ে বেশি দাম পাচ্ছে ভিন রাজ্যে রফতানি করে। তাই এখন ঝাড়গ্রামের মাটিতে চাষ হওয়া করলা দিল্লির বাজারে পাড়ি দিতেই এই করলাই যেন চাষিদের কাছে সোনার ফসলে পরিণত হয়ে গেছে।
বুদ্ধদেব বেরা