আইটিসি সিগারেট ব্যবসায় ১০.২ শতাংশ নিট মুনাফা রেজিস্টার করেছে, যেখানে এক সমীক্ষায় ৯-১১ শতাংশের অনুমান করা হয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির চমৎকার ফলাফল দেখে মুগ্ধ হয়ে তাতে বাজি ধরেছেন। এই কারণে, বৃহস্পতিবার বিএসইতে ২.৭৫ শতাংশ মজবুতভাবে আইটিসি শেয়ার ২৭৩.৮৫ এ লেনদেন হয়েছিল। এই সময়ে, ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ ২৭৯.১৫ টাকায় ছুঁয়েছে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার NSE-তে আইটিসি-র স্টক ৩ বছরের সর্বোচ্চ ২৭৯ টাকায় পৌঁছেছে।
advertisement
আরও পড়ুন - WhatsApp Pay-তে এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু! আর টাকা জালিয়াতির ভয় থাকবে না!
আরও পড়ুন - iPhone-এর ব্যাটারি নিঃশেষিত হচ্ছে দ্রুত? আপনার হাতেই রয়েছে সহজ উপায়
গত তিন দিন ধরে আইটিসি-র স্টক বাড়ছে। এই সময়ের মধ্যে, এটি প্রায় ৮.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এনএসইতে ইন্ট্রাডে ট্রেডিংয়ে আইটিসি শেয়ার ২৭৩.৪০ টাকার উচ্চ স্তর ছুঁয়েছে। করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে সৃষ্টি হওয়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আইটিসি সিগারেট ব্যবসায় ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এই ব্যবসা প্রাক-মহামারীর মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে যে মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও এটি সমস্ত সেক্টরে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি করেছে। হোটেল ব্যবসায়ও আইটিসি একটি স্মার্ট পুনরুদ্ধার দেখেছে। তবে এই ব্যবসা প্রাক-মহামারী পর্যায়ে পৌঁছায় নি। আইটিসি বলেছে যে ছুটি, বিবাহ, ব্যবসায়িক সফর ইত্যাদি কারণে হোটেল ব্যবসায় উন্নতি হচ্ছে। এছাড়াও পেপারবোর্ড, পেপার এবং প্যাকেজিং সেগমেন্টেও উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি শেয়ার মার্কেট বিশাল পতন দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ শেয়ারের মূল্য নিচে নেমে গিয়েছে কিন্তু আইটিসি-র মতো কিছু কিছু স্টক গ্রাহকদের মুনাফা দিচ্ছে। ভারতীয় শেয়ার বাজারের পতনের কারণ হিসেবে ফরেক্স রিজার্ভ কমে যাওয়াকে ধরা হচ্ছে। গত ৬ মাসে ভারতীয় স্টক মার্কেট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও অনেক কমে গিয়েছে। লগ্নিকারীরা তাদের বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার প্রভাব সমগ্র মার্কেটে পড়েছে।