TRENDING:

জমি, মাটির প্রয়োজন শেষ! হাওয়ায় হবে চাষ! ভারতে এই প্রযুক্তি তোলপাড় করবে

Last Updated:

Agriculture: মাটিতে নয়, ফসল ফলবে হাওয়ায়! একেবারে বাস্তব। খোদ ভারতেই ঘটবে সেই ঘটনা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: মাটিতে নয়, ফসল ফলবে হাওয়ায়! একেবারে বাস্তব। তাও চাঁদের মাটিতে নয়, খোদ ভারতেই ঘটতে চলেছে সেই ঘটনা।
advertisement

বিহারের নালন্দা জেলা সদর দফতর বিহারশরিফ থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে চণ্ডী ব্লকে একটি কৃষিকেন্দ্রে সবজি চাষ করা হয়। এখানে ইজরায়েলি প্রযুক্তিতে চালু করা হয়েছে একটি হাইড্রোপনিক ইউনিট।

এর সাহায্যে মাটি ছাড়া জলে শাক-সবজির চাষ করা হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে চালু হওয়া এই কৃষি কেন্দ্রে প্রাথমিক ভাবে শাক-সবজির চারা রোপণ করা হয়েছে। শীঘ্রই অন্য জাতের চারাও রোপণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন- কিছু নিজের হাতে বানাতে হবে না, এভাবেই মহিলারা ঘরে আনতে পারেন লাখ লাখ টাকা!

এই কৃষিকেন্দ্রে উৎপন্ন ফসল ব্র্যান্ডিং করবে সরকার, বিক্রি হবে দেশের সমস্ত বড় বড় বাজারে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কৃষকদের এখানে এনে হাইড্রোপনিক চাষের কলাকৌশলও শেখানো হবে।

ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি এরোপনিক ইউনিটও স্থাপন করা হচ্ছে। এটি আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। সফল ভাবে এরোপনিক ইউনিট বসানো গেলে মাটি ছাড়াই বাতাসে রোগমুক্ত আলুর বীজ উৎপাদন করা যাবে। সেই বীজ কৃষকদের ভর্তুকিতে দেওয়া হবে।

advertisement

হাইড্রোপনিক ইউনিটটি এক হাজার বর্গ মিটারে তৈরি করা হয়েছে, আর এরোপনিক ইউনিটটি তৈরি করা হবে ১,৮০০ বর্গমিটারে। দু’টি ইউনিট তৈরি করতেই সরকারের খরচ হচ্ছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা করে।

জলে জন্মানো পাঁচ প্রজাতি—

প্রকল্প অধিকর্তা চণ্ডীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. অভয়কুমার গৌরব জানান, হাইড্রোপনিক ইউনিটে পাঁচ জাতের চারা রোপণ করা হয়েছে, যা ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে গাছ হবে। এর পর ফলন পাওয়া শুরু হবে।

advertisement

তুলসী, ধনে, কলা এবং পাকচোই-এর মতো বহু ফসলি চাষ হচ্ছে এখানে। আড়াই থেকে তিন সপ্তাহ পর ফলন শুরু হবে। তিন-চার মাস ফসল পাওয়া যাবে। লেটুসও ফলানো হবে, তবে এটি এক ফসলি, বছরে একবার উৎপাদন করা হবে।

আরও পড়ুন- গয়না তো কেনেন সবাই, তবে সোনায় এভাবে বিনিয়োগ করলেই কিন্তু টাকা বাড়ে, জানেন তো

advertisement

এই পদ্ধতিতে চাষে মাটির প্রয়োজন হয় না। জলের মধ্যে বালি বা নুড়ি ফেলে চাষ হয়। একটি বিশেষ দ্রবণ ব্যবহার হয় উদ্ভিদকে পুষ্টি দিতে। এই দ্রবণে নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সালফার, জিঙ্ক, আয়রন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘা যাওয়ার পথে নেগুয়া গ্রাম! এখানেই রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের রহস্যময় ইতিহাস, জানুন
আরও দেখুন

পাম্পিং মেশিনের মাধ্যমে গাছের শিকড়ে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়। এই চাষে গাছে রোগপোকা কম ধরে। ফলে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
জমি, মাটির প্রয়োজন শেষ! হাওয়ায় হবে চাষ! ভারতে এই প্রযুক্তি তোলপাড় করবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল