স্থির আয় নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ ভাল বিকল্প। এটা সিনিয়র সিটিজেন পিতা-মাতাদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং আয়ের স্থিতিশীলতা প্রদান করবে। এদিক দিয়ে দেখলে অনেকেই বেছে নেন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। কিন্তু এখানেই একসঙ্গে সব টাকা রাখা উচিত নয়, বিনিয়োগের পোর্টফোলিওতে সব সময়েই বৈচিত্র্যের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। অপেক্ষাকৃত কম-ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে স্থির আয় নিশ্চিত করতে পারে এমন কয়েকটি বিনিয়োগ বিকল্পের হদিশ এখানে দেওয়া হল সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় ব্যবসা করতে চান? এই আইডিয়া ট্রাই করে আয় করতে পারবেন বিপুল টাকা
ফিক্সড ডিপোজিট: এফডি-কে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে এতে সুদের হারও বেশি। আয়কর আইনের ধারা ৮০ টিটিবি-এর অধীনে, এক অর্থবর্ষে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদের আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত।
এছাড়া পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিমেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এতে জমা টাকার উপর প্রতি মাসে সুদ পাওয়া যায়। মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত ব্যক্তির প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। মনে রাখতে হবে, সুদের হার প্রতি বছর সংশোধিত হয়।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে গিয়ে কি ২০০০ টাকার নোট বদলানো যাবে? ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কোথায় মিলছে এই সুবিধা?
ডেট ফান্ড/বন্ড: ডেট ফান্ডকে নিরাপদ মনে করা হয়। কারণ এগুলো স্থায়ী-আয় বিনিয়োগের উপর ফোকাস করে। বাজারের কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে দীর্ঘমেয়াদে ডেট ফান্ড থেকে ভাল রিটার্ন মেলে। ঝুঁকির ক্ষুধা সাধারণত অবসর গ্রহণের পরে হ্রাস পায় এবং মূলধনের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে। তাই, ডেট মিউচুয়াল ফান্ড বা হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ডগুলি কম ইক্যুইটি এক্সপোজার সহ প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমকে সর্বাধিক লাভজনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই স্কিম ভারত সরকার সমর্থিত। ফলে নিরাপদ। ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। একই সুদের হারে ভারত সরকার সমর্থিত আরেকটি স্কিম হল প্রধানমন্ত্রী বয়ঃ বন্দনা যোজনা। জীবন বিমা কর্পোরেশন (এলআইসি) দ্বারা পরিচালিত, এই প্রকল্পের মেয়াদ ১০ বছর।