২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্র ৬৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল এর আগে। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। হিসেব বলছে মাত্র ৩১,১০৬.৪ কোটি সংগ্রহ করা সম্ভব হতে পারে। ফলে সকলেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন আসন্ন বাজেট অধিবেশনের দিকে। সেখানেই স্পষ্ট হবে, আগামী অর্থ বছরের জন্য সরকারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং কীভাবে তা সরকারি খাতে তার অংশীদারিত্বকে কাজে লাগাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনায় বিনিয়োগ করবেন কীভাবে? রইল বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড!
ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (DIPAM) হিসেব বলছে, সরকার লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন (LIC)-এর ৩.৫ শতাংশ শেয়ার একটি ইনিসিয়াল পাবলিক অফার (IPO)-এর মাধ্যমে বিক্রি করেছে এবং ২০,৫১৬.১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে৷ এটি ২০২৩ অর্থবর্ষে সরকার কর্তৃক বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মোট পরিমাণের একটি বড় অংশ।
অয়েল অ্যান্ড ন্যাচরাল গ্যাস কর্পোরেশন (ONGC)-এ বিক্রয় ক্ষেত্রে ৩,০১৬.২৩ কোটি টাকা সরকারের ঘরে এসেছে। অন্য দিকে, পারাদ্বীপ ফসফেট লিমিটেড (PPL)-এর ১৯.৫৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ৪৭১.৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও, ইউনিট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (SUUTI) এর নির্দিষ্ট উদ্যোগে থাকা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি সরকার ৩,৮৩৯ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে।
আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান থেকে জিএসটি, বাজেটে মধ্যবিত্তদের ৫ প্রত্যাশা পূরণ হবে কি?
যদিও এত কিছুর পরেও এলআইসি-র দেশের বৃহত্তম আইপিও-তে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। একারণে আগামী বাজেটে সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য আরও বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এবার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটির মধ্যে রাখতে পারে সরকার। বাজার পরিস্থিতির এমনই ছিল যে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসিএল) প্রস্তাবিত বিক্রয় সাফল্য পায়নি। কিন্তু এলআইসি ডিভেস্টমেন্ট থেকে আদায়ও প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। এসব কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রা আরও একটু কম হতে পারে।