আরও পড়ুন- পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করতে চায় না কোন দল: জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে শিক্ষার মতো শিশুর মৌলিক চাহিদাও অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। আজকাল বিয়েতেও অনেক টাকা খরচ হয়। কাজেই যত তাড়াতাড়ি সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ করা হব, তত বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। যদি সন্তানের জন্মের পরে শীঘ্রই বিনিয়োগ করা শুরু করা যায়, তাহলে সন্তানের যখন ১৮ বছর বয়স হবে তখন প্রচুর পরিমাণে অর্থ জমা হবে।
advertisement
সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করার সময়, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (SSY), পোস্ট অফিসের মাসিক আয় স্কিম, LIC-এর জীবন তরুণ পরিকল্পনা, শিশু বিমা পরিকল্পনা এবং মিউচুয়াল ফান্ড সহ অনেকগুলি স্কিম রয়েছে। যাতে বিনিয়োগ করে সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা যেতে পারে। রিটার্ন এবং সময় অনুযায়ী, ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন- মাঙ্কিপক্স নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্র, ভারতে সংক্রমণ রোধে নির্দেশিকা প্রকাশ করল সরকার
আর্থিক শৃঙ্খলা প্রয়োজন -
সন্তানের জন্য একটি বড় তহবিল তৈরি করতে, যে কোনও ক্ষেত্রে আর্থিক শৃঙ্খলা অবলম্বন করতে হবে। এটি একটি স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ নয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক বিনিয়োগ। যে স্কিমে বিনিয়োগ করা হোক না কেন, মনে রাখতে হবে তা যেন ধারাবাহিক হয়।
পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য -
পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে একটি বিনিয়োগ বা সঞ্চয় প্রকল্প থেকে কম রিটার্ন হলে, অন্যত্র করা বিনিয়োগের মাধ্যমে সেই লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে। বিনিয়োগকে বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণিতে ভাগ করলে পোর্টফোলিওতে ভারসাম্য বজায় থাকে। সন্তানের পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যতের জন্যও বিনিয়োগ করা উচিত। এর জন্য আর কিছু না হলেও অন্তত বিমায় বিনিয়োগ করা উচিত।