#নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া অবাধ ‘উপহারের’ উপর নিয়ন্ত্রণের জন্য সংসদে বিতর্ক করা উচিত। এই মর্মেই দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে কোনও রাজনৈতিক দল কখনই বিনামূল্যে দেওয়া ‘সুবিধার’ বিরোধিতা করবে না এবং কেউই এই বিষয়ে বিতর্কও করবে না। রাজনৈতিক ‘উপহারের’ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানির হয় এদিন। শুনানির দায়িত্বে থাকা একটি বেঞ্চের নেতৃত্বে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবালের পরামর্শের প্রতিক্রিয়ায় জানান যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। শীর্ষ আদালত নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং সহায়তার সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা গঠনের পরামর্শও দিয়েছে।
আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের ‘বিনামূল্যে উপহার’ দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি পিআইএল দায়ের করেন৷ বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত একটি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ আবেদনকারী, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনকে এই ধরনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের বিষয়ে তাদের পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- আচার ছিটকে লেগেছিল ছাদে, আর্ট গ্যালারিতে সেই আচার শিল্পের দাম উঠল ৫ লক্ষ টাকা
বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র অবশ্য এই জনস্বার্থ মামলাকে সমর্থন জানিয়েছে! বিজেপি শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি এবং উপহার ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। কেন্দ্র সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মাধ্যমে জানিয়েছে, “বিনামূল্যে এভাবে রাজনৈতিক সুবিধা-উপহার প্রদান অনিবার্যভাবে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে এবং ভোটাররাও বুঝে শুনে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত হিসাবে নির্বাচন করার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।”
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, “কোন রাজনৈতিক দল বিতর্ক করবে? কোনও রাজনৈতিক দল এই পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির বিরোধিতা করবে না। আজকাল সবাই উপহার চায়।” শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মতামত বিবেচনায় না করে এই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা জানাবে না আদালত। প্রধান বিচারপতি জানান, শেষ পর্যন্ত ভারতের নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেই বাস্তবায়নের পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন- মাঙ্কিপক্স নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্র, ভারতে সংক্রমণ রোধে নির্দেশিকা প্রকাশ করল সরকার
সরকার আগেই জানিয়েছিল, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেই মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু, ২৬ জুলাই এই বিষয়ে শুনানির সময় নির্বাচনী প্যানেল সরকারকেই দায়িত্ব দেয়। শীর্ষ আদালত এখন কেন্দ্র, নীতি আয়োগ, ফাইনান্স কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের এই সমস্যাটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে এবং এটি মোকাবিলার জন্য গঠনমূলক পরামর্শ জানাতে বলেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Supreme Court