Tails Trading নামে একটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সিদ্ধার্থ। আর অচিরেই এটি বিশ্বের সবথেকে বড় ব্র্যান্ড পোর্টফোলিও সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছিল। আর ২০২৪ সালে সিদ্ধার্থর নেতৃত্বেই চলছিল তাঁর সংস্থা Tails Trading। সেই সময় নিজেদের কনজিউমার ব্র্যান্ড ডিভিশন ৫০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে একটি বড়সড় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পেরেছিল সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ‘লড়াই জারি আছে, এবার….’ পহেলগাঁও নিয়ে রাজনাথের পর ফের সুর চড়ালেন জয়শঙ্কর
advertisement
সম্প্রতি ট্রেন্ডিং ডায়েরি পডকাস্টে উপস্থিত হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর। কীভাবে তিনি এই যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং কোনও রকম ঋণ অথবা বাহ্যিক বিনিয়োগ ছাড়াই ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ফার্ম তৈরি করেছিলেন, সেই কাহিনিই ভাগ করে নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, সেই আলাপচারিতায় কীভাবে প্রথমদিককার জীবন, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এবং মানসিকতা কীভাবে একজন উদ্যোগপতি হিসেবে তাঁর যাত্রাপথটাকে সুপ্রশস্ত করেছে, সেটাও তুলে ধরেছেন তিনি। এর পাশাপাশি ইউকে-তে চলে যাওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। আর সেখানে শূন্য থেকে একটা গোটা ব্যবসা শুরু করা এবং কীভাবে প্রতিকূলতা জয় করেছেন, সেটাও ভাগ করে নিয়েছেন।
সিদ্ধার্থ ওই পডকাস্টে জানালেন যে, নিজের সংস্থা বিত্রি করে দেওয়ার পরের পরিবর্তনটা বেশ কঠিন ছিল। কারণ এটা তাঁর রোজনামচার উপরেও প্রভাব ফেলেছিল। দীর্ঘ ১৫ বছরের নিত্য ব্যস্ততার পরে আচমকাই উদ্দেশ্যহীনতার তাঁকে যেন গ্রাস করেছিল। মজা করে জানান যে, PlayStation এবং গল্ফেরও তো একটা সীমা রয়েছে। নিজের উদ্যোগের মানসিকতা ঝেড়ে ফেলা আসল চ্যালেঞ্জ বলেই প্রমাণিত হয়েছিল। সিদ্ধার্থের কথায়, “একজন কতক্ষণ PlayStation খেলতে পারে? আর কতক্ষণই বা আমি গল্ফ খেলব? এর থেকে আর বেশি কী করব? তাই স্যুইচ অফ করে দেওয়া কিন্তু ততটাও সহজ নয়।”
ব্যাখ্যা দিয়ে সিদ্ধার্থ জানান যে, কোম্পানি বেচে দেওয়ার পর তাঁর কাছে শুভেচ্ছাবার্তা আসতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও তিনি আনন্দিত হতে পারছিলেন না। আসলে জীবনের যেন একটা অর্থের আচমকাই অনুপস্থিতির সঙ্গেই লড়াই করতে হচ্ছিল তাঁকে। তাঁর বক্তব্য, “আমি ব্যবসাটা বেচে দিয়েছিলাম কারণ ব্যবসাটার সঙ্গে সেরা কিছু হোক, সেটাই চেয়েছিলাম। আমি আমার জন্য ব্যবসাটা বিক্রি করিনি।”
