রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ বলেছেন, যদি বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গিয়ে ব্যারেল প্রতি ৪০ ডলারে নেমে আসে, তবেই গত সপ্তাহে তেলের উপর জারি করা অতিরিক্ত কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে সরকার। অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে এবং রাজস্ব বাড়াতে পেট্রোল, ডিজেল ও বিমানের জ্বালানির উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করেছে সরকার।
advertisement
পেট্রোল ও বিমান জ্বালানির ক্ষেত্রে প্রতি লিটারে ৬ টাকা অতিরিক্ত কর এবং প্রতি লিটার ডিজেলে ১৩ টাকা অতিরিক্ত কর ধার্য করা হয়েছে। রাজস্ব সচিব আরও বলেন যে, প্রতি ১৫ দিন অন্তর কর পর্যালোচনা করা হবে। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের উপর এই পর্যালোচনা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে। দাম কমে গেলে, অতিরিক্ত কর ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে এর জন্য অপরিশোধিত তেলের দাম হতে হবে ব্যারেল প্রতি ৪০ ডলার।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে বিভোর? ভারতের এই দীর্ঘতম সেতু ধারেভারে অনেক এগিয়ে! জানলে চমকে উঠবেন!
সরকারের আয় ৬৭৪০০ কোটি টাকা:
যদিও তেল রফতানির ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি করার ফলে সরকারের কত আয় হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য কোনও তথ্য জানাননি রাজস্ব সচিব। কিন্তু বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, কর বৃদ্ধির ফলে বার্ষিক প্রায় ৬৭৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হবে সরকারের। মে মাসে পেট্রোলের উপর ৮ টাকা এবং ডিজেলের উপর ৬ টাকা আবগারি শুল্ক কমানোর জন্য সরকারের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পূরণ করবে এই অতিরিক্ত আয়।
আরও পড়ুন: ৫৬ ভোগে নুডুলস-ডোনাট-পাস্তা! মায়াপুর ইসকনে জগন্নাথ দেবের নিবেদনে দারুণ চমক
কোম্পানিগুলোর আয়ের উপর পড়বে প্রভাব:
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অতিরিক্ত কর আদায়ের কারণে সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলির উপর এর প্রভাব পড়বে এবং চলতি অর্থবর্ষে এই কোম্পানিগুলির আয় কমে যাবে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি এবং শোধনাগারগুলির মোট নিট মুনাফা ছিল ১৪৭১৯৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ বেশি। রফতানি থেকে হওয়া মুনাফার একটি বড় অংশ রয়েছে এর মধ্যে। রফতানির উপর অতিরিক্ত কর নেওয়া হলে কোম্পানিগুলোর আয় কমতে পারে এই বছর।