আরও পড়ুন: E Scooter: ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগছে কেন? ব্যাটারি চালিত যানবাহন কতটা নিরাপদ?
ভারতের প্রসঙ্গে আলোচনা করলে জানা যায়, অপরিশোধিত তেল বা অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি বা বাজার থেকে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অর্থ তুলে নেওয়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এর ফলের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জগতে চিন্তার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
advertisement
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি থেকে ডলারের শক্তির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা কেন এত প্রভাবশালী বা শক্তিশালী? এছাড়া, বিশ্বে মার্কিন মুদ্রাকেই রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে কেন রাখা হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার কারণেই ডলারকে সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত মুদ্রা হিসেবে রাখা হয়। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক টানাপোড়নের অন্যতম কারণ হল ডলার রিজার্ভের অভাব।
আরও পড়ুন: Earn Money: কলা গাছের কান্ড থেকে বিপুল আয় সম্ভব, জানুন এই ব্যবসার খুঁটিনাটি
মার্কিন মুদ্রা শক্তিশালী হওয়ার ইতিহাস অনেক পুরনো। ১৯১৪ সালে প্রথম ডলার ছাপা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ আইনের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ১ বছর পর মুদ্রা ছাপানো শুরু হয়। ফেড অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের ছবি সহ ১০ ডলার মূল্যের ফেডারেল রিজার্ভ নোট ইস্যু করা শুরু হয়। ৩ দশক পর মার্কিন ডলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হয়ে ওঠে।
১৬৯০ সালে ছাপা বিশ্বের প্রথম নোট
ম্যাসাচুসেটস বে কলোনি ঔপনিবেশিক নোট জারি করার পর ১৬৯০ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নোট বা কাগজের মুদ্রা ব্যবহৃত হয়। এই নোটগুলি সামরিক অভিযানের ফান্ডিংয়ে ব্যবহার করা হত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে স্প্যানিশ আমেরিকান পেসো প্রতীক ব্যবহার করে ১৭৮৫ সালে ডলার প্রতীক গ্রহণ করে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর তথ্য অনুযায়ী, সমস্ত বিদেশি ব্যাঙ্কের মুদ্রার রিজার্ভের প্রায় ৫৯ শতাংশ মার্কিন ডলারে রয়েছে।