পেট্রোল কিংবা গ্যাসের গাড়ি থেকে ক্রেতাদের মন উঠে গিয়েছে। সবাই এখন ঝুঁকছে ইভি-র দিকেই। কারণ ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল আরও দক্ষ এবং উন্নত। প্রতি বছর ক্রমশ সস্তা হচ্ছে। তাই ইভি-ই ভবিষ্যৎ হতে চলেছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ অটোমোটিভ ইন্টেলিজেন্সের সভাপতি এবং কারভার্টিকালের যোগাযোগ প্রধান ম্যাটাস বুজেলিস বলছেন, ‘প্রথমত বৈদ্যুতিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম’। যেটুকু খরচ সেটা চার্জিংয়ে’।
advertisement
দ্বিতীয়ত, তুলনামূলক আইসিই গাড়ির তুলনায় ইভিতে উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তি থাকার সম্ভাবনা বেশি। খরচ মূলত নির্ভর করে ব্যবহারের উপর। এমনটাই মত ইন-কার পেমেন্ট প্রযুক্তি প্রদানকারী শিভা ডট এআই-এর ট্রেভর কারউইনের। তাঁর কথায়, ইভি শুধু গাড়ি নয়, আরও অনেক কিছু। এর অত্যাধুনিক পারফরমেন্স বৈশিষ্ট্য ক্রেতার মন গলাতে বাধ্য। বুজেলিস তাই ইভি-কে পরবর্তী প্রজন্মের গাড়ি বলছেন। তাঁর কথায়, ‘ইভি প্রয়োজনে শক্তি সরবরাহ করে, অন্য সময় নীরব থাকে।
আরও পড়ুন: লকারে কি সোনা পড়ে রয়েছে? তা-হলে সেটা দিয়েই কিন্তু করা যেতে পারে উপার্জন! দেখে নিন সেই উপায়!
তৃতীয়ত, ক্রেতাদের কাছে এখন সাশ্রয়ী মূল্যের স্বল্প-পরিসরের কমিউটার ইভি থেকে শুরু করে ৫০০-মাইল ব্যাটারি রেঞ্জ এবং ছয়-অঙ্কের মূল্য ট্যাগ সহ আল্ট্রা-লাক্সারি ট্যুরিং গাড়ি পর্যন্ত সবকিছুর বিকল্প রয়েছে। শেভ্রোলেট, ফোর্ড, নিসান, সুবারু, টয়োটা এবং ভিডব্লিউ-এর মতো লিগ্যাসি গাড়ি নির্মাতারাও এক বা একাধিক ইভি নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ভুল ইউপিআই পেমেন্ট? চিন্তা নেই, দেখে নিন রিফান্ড পাওয়ার উপায়!
কেলি ব্লু বুক-এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ১৬টি নতুন মডেলের ইভি বাজারে আসছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ১৩৪টি ইভি মডেল পাওয়া যাবে। এডমন্ডসের মতে, আসন্ন বছরের চেভি বোল্ট ইভি, নিসান লিফ, মিনি কুপার এসই এবং চেভি বোল্ট ইইউভি – সবেরই দাম থাকবে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে। তাই নতুন বছরে গাড়ি কেনার ইচ্ছে থাকলে ইভি-ই আদর্শ।