২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই এই ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু করোনার জেরে অর্থনীতি প্রায় কোমায় চলে গিয়েছে। ফলে মাত্র ৩ বছরের মধ্যে তার পক্ষে এই বিশাল লাফ দেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আইএমএফ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে ২০২৯ সালের মধ্যে ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
advertisement
২০২৯ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব: আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৮-২৯ অর্থবর্ষের মধ্যে ৪.৯২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪ বছর বিলম্ব হবে। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. ভি অনন্ত নাগেশ্বরন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেছিলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যেই ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তাঁর মতে, যদি ৮ থেকে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে ভারত এই সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলবে।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির কাগজপত্র হারিয়ে গিয়েছে? ট্রু অথবা সার্টিফায়েড কপি তুলবেন কীভাবে?
বর্তমানে ডলারের মূল্যে ভারত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির সীমা অতিক্রম করেছে। নাগেশ্বরন বলেছিলেন, "আমরা যদি প্রকৃত জিডিপি ৮ থেকে ৯ শতাংশ বজায় রাখতে সক্ষম হই, তাহলে ডলারের ক্ষেত্রে এটা ৮ শতাংশ বৃদ্ধির হার হবে।"
আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়িতে কেন যাচ্ছেন অমিত শাহ? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা শুরু
প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৩ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধির হার আরও কমে। দাঁড়ায় ৭ শতাংশে। ২০১৮-১৯ এ বৃদ্ধির হার আরও কমে হয় ৬.১ শতাংশ। ঠিক যেন একেকটা সিঁড়ি ভেঙে নিচের দিকে নামতে থাকে ভারতের অর্থনীতি। ২০১৯-২০ সালে সিঁড়ির শেষ ধাপটাও শেষ। জিডিপি বৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে সিঁড়ির কোনও ধাপ নেই। কার্যত নিচের দিকে ঝাঁপ দেয় অর্থনীতি। জিডিপি বৃদ্ধির হার হয় মাইনাস ৭.৩ শতাংশ। অর্থাৎ করোনা আসার আগে থেকেই নাগাড়ে কমছিল বৃদ্ধির হার। যা চরম আকার নিয়েছে করোনাকালে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিডিপি আবার ঘুরে দাঁড়ায়। এদিকে ইঙ্গিত করেই ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও ৪ বছর লাগবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।