‘ট্রেন্ড সেটিং মিলেনিয়ালস রিডিফাইনিং দ্য কনজিউমার স্টোরি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেলয়েট। সেখানে লেখা হয়েছে, বিনিয়োগ উপদেষ্টাদের উপর ভরসা করে বসে নেই তরুণ প্রজন্ম। বরং কোথায় বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া যাবে সেই নিয়ে নিজেরাই পড়াশোনা করছে। এ জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে তুলে আনছে বিভিন্ন, বই, আর্টিকেল, ভিডিও স্টোরি। সে সব থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে, তার সঙ্গে নিজস্ব বিচার বুদ্ধি খাটিয়ে তারপর বিনিয়োগ করছে তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাচ্চাদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে? রইল টিপস...
এখন যাঁরা বাজারে নতুন এবং নিজেরাই বিনিয়োগ করতে চান, বেছে নিতে চান ডিআইওয়াই পোর্টফোলিও, তাঁদের জন্য এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু পরীক্ষিত ১২-২০-৮০ ফরমুলায় চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়। এটা হল ইক্যুইটি, ডেবট এবং সোনায় বিনিয়োগের অনুপাত। তিনটি ক্ষেত্রে এই অনুপাতে বিনিয়োগ করলে পোর্টফোলিওতে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পোষ্যদিবস, পালন করুন দিনটি, উদযাপন করুন আপনার প্রিয় বন্ধুটির সঙ্গে
যদি পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করার মতো সময় এবং এনার্জি থাকে তাহলে অন্যের বুদ্ধিতে (বিনিয়োগ উপদেষ্টা) চলার সত্যিই কোনও দরকার নেই। যদি বিনিয়োগকারী এই দুনিয়ায় নতুন হন, তাহলে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করতে হবে। প্রথম প্রশ্ন, ইক্যুইটি বাজারের খুঁটিনাটি বোঝার মতো যথেষ্ট টেকনিক্যাল জ্ঞান আছে তো? দ্বিতীয় প্রশ্ন, ইক্যুইটি বাজারের জটিল তত্ত্বগুলো শেখার সময় আছে? তৃতীয় প্রশ্ন, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কে শেখার জন্য ফান্ড বরাদ্দ করা হয়েছে?
উপরের প্রশ্নগুলির উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, বিনিয়োগকারীর জান্য ডিআইওয়াই কৌশল আদর্শ। সবচেয়ে বড় কথা, টাকাপয়সার ক্ষেত্রে সহজাত প্রবৃত্তিকে বিশ্বাস করাই ভাল। ডিআইওয়াই বিনিয়োগের জন্য দরকার প্রচুর ধৈর্য। সঙ্গে সময়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গবেষণা। যখন বিনিয়োগের আগে কোম্পানির মৌলিক বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করতে হয় বা ব্যালেন্স শিট পড়তে হয় তখন ব্যক্তিগত আগ্রহ এবং হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিআইওয়াই কৌশল আদতে ধীর এবং স্থির খেলা- সেই কচ্ছপ এবং খরগোশের গল্পটার মতো।