আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজটি সেরে রাখতে হবে পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের, না হলে হতে পারে বড় লোকসান
লোনের মাসিক কিস্তি বা ইএমআই কেমন হবে, সেটা কয়েকটা বিষয়ের মাধ্যমে হিসেব করা হবে। লোন বা ঋণের পরিমাণ, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কাল, সুদের হার এবং প্রসেসিং ফি-এর ভিত্তিতে হিসেব করলে পাওয়া যাবে মাসিক কিস্তির পরিমাণ। শুধু তা-ই নয়, ইএমআই ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে খুবই জরুরি তথ্যও বেরিয়ে আসবে। যেমন-- মোট কত সুদ প্রদান করতে হবে, এই হিসেবটাও ইএমআই ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে সহজেই করা যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: PNB এবং ICICI ব্যাঙ্কের জন্য বড় ধাক্কা! জরিমানা আরোপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, জানুন কারণ...
আবার ঋণগ্রহীতা প্রতি বছর ঋণের উপর আংশিক আগাম শোধ দিতে পারেন, বেশির ভাগ ঋণদাতা সংস্থাই এই সুবিধা প্রদান করে। গ্রাহক যদি এই ধরনের পেমেন্ট করতে চান, সে ক্ষেত্রে তিনি ইএমআই ক্যালকুলেটরে (EMI Calculator) সমস্ত তথ্য দিয়ে হিসেব করে নিতে পারেন। সুদ প্রদানের ক্ষেত্রে কত টাকা গ্রাহক বাঁচাতে পারবেন এবং মেয়াদ কাল থেকে কতটা সময় কমে যাচ্ছে, এই সব তথ্যই ওই হিসেব থেকে বেরিয়ে আসবে আর এতে গ্রাহকের সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হবে।
ইএমআই ক্যালকুলেটর কী?
ইএমআই ক্যালকুলেটর হল, এক ধরনের সহজ-সরল অনলাইন টুল। যা শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির পরিমাণ হিসেব করতে সাহায্য করে গ্রাহককে। এমনিতে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ইএমআই হিসেব করা খুবই ঝামেলার বিষয়। সময়ও লাগে প্রচুর, সেই সঙ্গে গ্রাহকের বেশ খাটনিও হয়। কিন্তু ইএমআই ক্যালকুলেটরের মতো অনলাইন টুল ব্যবহার করলে ওই প্রক্রিয়া খুবই সহজ হয়ে যায়। খাটনিও কম, আর সময়ও লাগে খুবই কম। আর এটা বিনামূল্যেই ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি, এই ইএমআই ক্যালকুলেটর একদম সঠিক ভাবে হিসেবও করে দিতে পারে।
ইএমআই ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুবিধা--
- খুবই দ্রুত: কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শিক্ষা ঋণের মাসিক কিস্তি বা ইএমআই হিসেব করা যায়।
- সহজ: ইএমআই ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে হিসেব করার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং সরল।
- বিভিন্ন রকম ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা: এই ক্যালকুলেটরে এক-এক রকম মেয়াদ কাল, আলাদা আলাদা সুদের হার দিয়ে মাসিক কিস্তি হিসেব করা যেতে পারে। এর ফলে গ্রাহক নিজের সুবিধামতো অপশন বেছে নিতে পারবেন।
- সম্পূর্ণ বিনামূল্যে: ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে এই ইএমআই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার জন্য কোনও ফি বা চার্জ দিতে হয় না। এটা বর্তমানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লব্ধ করা যায় এবং ভবিষ্যতেই বিনামূল্যেই এটা ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: ভারতের বাজার কাঁপাতে আসছে Tesla কোম্পানির বৈদ্যুতিক গাড়ি, কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত!
ইএমআই ক্যালকুলেটর কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে?
- ঋণের পরিমাণ: গ্রাহক কত লোন নিচ্ছেন, প্রথমে হাইলি রেসপনসিভ স্লাইডারে আপডেট করতে হবে।
- মেয়াদ কাল: প্রথম ধাপের মতোই পরের ধাপের স্লাইডারে লোনের মেয়াদ কাল দিতে হবে।
- সুদের হার (শতাংশ): শিক্ষা ঋণের উপর সুদের হার কত, সেইটা আপডেট করতে হবে।
- প্রসেসিং ফি (শতকরা ঋণের পরিমাণ): আগের ধাপের মতোই এই ধাপে লোনের পরিমাণের উপর ধার্য করা প্রসেসিং ফি আপডেট করতে হবে। অনেক সময় এই প্রসেসিং ফি কত হবে, সেই বিষয়ে গ্রাহকের ধারণা থাকে না, ফলে গ্রাহকের নেওয়া লোনের উপর নির্দিষ্ট কত প্রসেসিং ফি ধার্য করা হয়েছে, সেটা ঋণদাতা অথবা ব্যাঙ্কের কাছ থেকেই জেনে নিতে হবে।
- প্রি-পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে: অনেকেই প্রি-পেমেন্ট করতে চান। সে ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ উত্তর চাওয়া হয়। এ বার গ্রাহক নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ অপশন বেছে নিতে পারেন। এ বার শিক্ষা ঋণের ইএমআই ক্যালকুলেটর গ্রাহকের এই সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে বিবেচনা করবে।
- ক্যালকুলেট: পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ক্যালকুলেট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
শেষ ধাপ সম্পূর্ণ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইএমআই ক্যালকুলেটর মাসিক কিস্তির হিসেব বলে দেবে।
যে সব পাঠ্যক্রম শিক্ষা ঋণের আওতায় পড়ে, তার একটি তালিকা রইল--
- নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি
- UGC/IMC/AICTE/সরকার স্বীকৃত বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স (টেকলিক্যাল/প্রফেশনাল/ডিপ্লোমা)
- পাইলট ট্রেনিং, অ্যারোনটিক্যাল, শিপিং এবং ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন/শিপিং/অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত যে কোনও রেগুলার ডিগ্রি/ডিপ্লোমা কোর্স
- IIM/IIT-এর মতো প্রতিষ্ঠান অনুমোদিত বিভিন্ন রেগুলার এবং ডিপ্লোমা কোর্স
- পেশা ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স (প্রফেশনাল/টেকলিক্যাল)
- স্কিল ডেভলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্স