BankBazaar কোম্পানির CEO আধিল শেট্টির উত্তর, “যদি আপনি নিশ্চিত রিটার্নের কথা ভাবছেন তবে পোস্ট অফিসের একাধিক স্কিমে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন চান তবে আপনি ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম (NSC) বা টাইম ডিপোজিটে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদিও, সবমিলিয়ে এই সুরক্ষিত স্কিমগুলিতে বিনিয়োগে রিটার্নের অঙ্ক তুলনামূলক অনেক কম। কর প্রদান ও মুদ্রাস্ফীতি হিসেব করলে দেখা যাবে লাভের জায়গায় লোকসানেরও সম্ভাবনা থাকছে। যদি আপনি ইপিএফ-এর মতো বা তার থেকে বেশি রিটার্ন চান তবে মিউচুয়াল ফান্ড একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ফিক্সড ডিপোজিটের কম রিটার্নের ঘাটতি পূরণ হবে। যদি আপনি ঝুঁকি নিতে চান সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের জন্য ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন (Savings for Future)। স্বনামধন্য ফান্ড হাউস থেকে কম খরচের ইনডেক্স ফান্ডে বিনিয়োগও ভালো বিকল্প প্রমাণিত হতে পারে।”
advertisement
আরও পড়ুন : বাচ্চা খেতে চায় না? খিদে বাড়াতে সন্তানের ডায়েটে রাখুন আয়ুর্বেদিক এই খাবারগুলি
আমার বয়স ২৩ বছর এবং আমি প্রতি মাসে ৬৫ হাজার টাকা আয় করি। আমার পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করা আছে। এছাড়া, আমার কাছে ২ লক্ষ টাকার সেভিংসও রয়েছে। আমি বিদেশে পড়াশুনার জন্য আগামী ৬ বছরের ৫০ লক্ষ টাকা কর্পাস জমাতে চাই। আমার কীভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত?
আরও পড়ুন : কম আলোচিত হলেও ভিটামিন ‘কে’ অবহেলার নয়, ডায়েটে রাখুন এই ভিটামিন সমৃদ্ধ এই খাবারগুলি
বাজাজ ক্যাপিটালসের জয়েন্ট চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা উত্তরে জানিয়েছেন, “যদি আমরা বিদ্যমান বিনিয়োগ ১০% CAGR রিটার্ন হিসেব করে তবে সেই ক্ষেত্রে আগামী ৬ বছরে মোট কর্পাসের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫ লক্ষ টাকা। ৫০ লক্ষের লক্ষ্যে পৌঁছতে মাসিক ৪০ হাজার করে বিনিয়োগ করতে হবে। এরপর এই অর্থকে বিভিন্ন দিকে সমানভাবে ভাগ করে লগ্নি করতে হবে। এছাড়া, প্রতিবছর বিনিয়োগের পোর্টফোলিওকে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন মতো সংযোজন বা সংশোধন করতে হবে।”