গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য কী ভাবে চুরি যায়?
১. স্কিমিং -
জালিয়াতরা এটিএম মেশিনের কার্ড সোয়াইপ করার জায়গায় বা পিন নম্বর দেওয়ার ডায়ালে স্কিমার বা এক বিশেষ ধরনের যন্ত্র লাগিয়ে দেয়। ফলে ডেবিট হোক বা ক্রেডিট কার্ড ওই এটিএম থেকেই খোয়া যেতে পারে তথ্য। গ্রাহক যখনই নিজের কার্ড প্রবেশ করাবেন বা পিন নম্বর দেবেন তখনই তার প্রতিলিপি পৌঁছে যাবে জালিয়াতদের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অনলাইন গেমিং-এর উপরও কি কর? জানুন GST কাউন্সিলের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হল
২. ডাম্পস্টার ডাইভিং -
এই বিষয়ে গ্রাহকের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যখনই গ্রাহক কেনাকাটার পর বা এটিএম থেকে টাকা তোলার পর বিল অথবা কোনও নথি ফেলে দেন, সেখান থেকে তাঁদের ক্রেডিট কার্ড নম্বর-সহ অন্য তথ্য চুরি করে ফেলা সম্ভব।
৩. হ্যাকিং -
জালিয়াতরা হ্যাকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নিতে পারে। বিভিন্ন জায়গা থেকেই এটি করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বিরাট স্বস্তি! কর নিয়ে 'সুখবর' এল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে
৪. ফিশিং -
ফিশিং অ্যাটাকের মাধ্যমেও গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন তথ্য চুরি করা যায়।
ক্রেডিট কার্ডের সুরক্ষা -
নিজেদের ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষিত রাখতে প্রতিনিয়ত নিজেদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স চেক করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন নিজেদের অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট একবার মিলিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। ক্রেডিট কার্ড দুর্নীতি থেকে বাঁচার জন্য সবসময় সুরক্ষিত ভাবে লেনদেন করা প্রয়োজন। ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত কোনও মেসেজ এলে সঙ্গে সঙ্গে সেই কার্ড ব্লক করে দেওয়াই ভাল।
‘আন-অথরাইজড ক্রেডিট কার্ড চার্জ’ কী?
গ্রাহকের অজান্তে কেউ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করলে তাকে বলা হয় আন-অথরাইজ ক্রেডিট কার্ড চার্জ। গ্রাহকেরা নিজেদের ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে ফেললে অথবা সেই ক্রেডিট কার্ড চুরি হলে এমন জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকে।
কাউন্টারফিট ক্রেডিট কার্ড -
এটি হল ভুয়ো কার্ড। এই ধরনের কার্ডে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য দেওয়া থাকে। থাকে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপও। কিন্তু আসলে তা জালিয়াতি করে বানান।
ক্রেডিট কার্ড দুর্নীতি থেকে বাঁচার উপায় -
১. ক্রেডিট কার্ড দিয়ে লেনদেন করার পর যে বিল পাওয়া যায় তা নষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন।
২. ফোন, ইমেল অথবা মেসেজের মাধ্যমে কেউ ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাইলে তা দেওয়া উচিত নয়।
৩. সব সময় নিজেদের কাছে সুরক্ষিত ভাবে ক্রেডিট কার্ড রেখে দেওয়া প্রয়োজন।
৪. ক্রেডিট কার্ড চুরি হয়ে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে সেটি বাতিল করা প্রয়োজন।
৫. অনলাইন লেনদেন করার সময় সব সময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন।