তবে অনেক সময় অন্যান্য নথির মতোই প্যান কার্ড হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কারণ গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে সাধারণত ওয়ালেট বা ব্যাগেই রাখা হয়। সেই ব্যাগ চুরি হলে কিংবা হারিয়ে গেলে তার সঙ্গে সঙ্গে প্যান কার্ডও খোওয়া যায়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ নথি এক বার হারানো মানেই মারাত্মক হয়রানি। ফের প্যান কার্ড হাতে পেতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। আসলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফের সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেশ কয়েকটি পোস্ট অফিস স্কিমে বাড়ল সুদের হার,দেখে নিন কোথায় টাকা খাটালে বেশি লাভ
তাই নাগরিকদের হয়রানি কমানোর ব্যবস্থা করেছে আয়কর বিভাগ। আসলে এখন থেকে ই-প্যান কার্ড পিডিএফ ডাউনলোড করার সুবিধা চালু করেছে তারা। ফলে সব সময় প্যান কার্ড সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে না। কারণ ই-প্যান কার্ড সঙ্গে থাকলে যে কোনও সময় এবং যে কোনও স্থানে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করার উপায় কী? প্রথমে যেতে হবে এনএসডিএল ওয়েবসাইটে। সেখানে ই-প্যান ডাউনলোড করার ২টি উপায় পাওয়া যাবে। আর এই দুই উপায়ের মধ্যেই যে কোনও একটি উপায় বেছে নিতে হবে। তা-হলে দেখে নেওয়া যাক, ধাপে ধাপে ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করার সহজ উপায়।
আরও পড়ুন: এবার খুব শীঘ্রই বেসরকারিকরণ হতে চলেছে এই ব্যাঙ্কের !
প্যান কার্ড নম্বরের মাধ্যমে ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করার উপায়:
- প্যান কার্ডের ১০ অঙ্কের আলফা নিউমেরিক নম্বর দিতে হবে।
- এবার আধার নম্বর, জন্মতিথি, জিএসটিএন (ঐচ্ছিক) এবং ক্যাচ কোড দিতে হবে।
- বিশদ বিবরণ জমা দেওয়ার পরে বক্সে টিক দিতে হবে।
- এর পর ক্যাপচা পূরণ করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এ-বার ই-প্যান ডাউনলোড করার জন্য ‘ডাউনলোড পিডিএফ’-এ ক্লিক করতে হবে।
অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর থেকে কীভাবে ডাউনলোড করতে হবে:
- সবার আগে অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর দিতে হবে।
- সেখানে প্যান কার্ড হোল্ডারের বিষয়ে যে তথ্য চাওয়া হবে, সেই তথ্য এবং ক্যাপচা কোড দিতে হবে।
- ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এবার স্ক্রিনে ভেসে উঠবে ই-প্যান কার্ড এবং পিডিএফ।
- এর পর ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করার জন্য ‘ডাউনলোড পিডিএফ’-এ ক্লিক করতে হবে।
কীসে কীসে প্যান কার্ড ব্যবহার করা হয়?
আয়কর জমা দিতে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে, এফডি বা ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে কিংবা উচ্চদরের বিমা কেনার জন্য প্যান কার্ড ব্যবহার করা হয়। প্রসঙ্গত, শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করতে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাঙ্ক লোন নেওয়ার জন্যও প্যান কার্ড আবশ্যক। শুধু তা-ই নয়, ব্যাঙ্ক থেকে এক লপ্তে প্রচুর পরিমাণ টাকা তোলার জন্য প্যান কার্ডের প্রয়োজন হয়। আসলে এ-সব ক্ষেত্রে প্যান কার্ড গ্রাহকের পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে।