আরও পড়ুন: আয়কর ফাইলে কম রিফান্ড পেয়েছেন? জেনে কীভাবে পাবেন সম্পূর্ণ টাকা!
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়িকে ইলেকট্রিক কারে পরিবর্তিত করার জন্য ১০টি ইলেকট্রিক কিট নির্মাতা কোম্পানিকে প্যানেলে যুক্ত করা হয়েছে। যে সমস্ত যানবাহনের লাইসেন্স সম্প্রতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক কারে রূপান্তর নতুন গাড়ি কেনার তুলনায় সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে। দিল্লি সরকার ১০ বছর পুরনো ডিজেল চালিত এবং ১৫ বছর পুরনো পেট্রোল চালিত সমস্ত যানবাহনের ব্যবহার বেআইনি করে দিয়েছে। এই সমস্ত যানবাহনের কথা মাথায় রেখেই পুরনো গাড়িকে ইলেকট্রিক কারে পরিবর্তন করার এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আজ বেশ কিছু শহরে বদলাল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম....
পুরনো পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির কী হবে?
অন্য কোনও বিকল্প না থাকায় এই সমস্ত ক্ষেত্রে যানবাহনের মালিকেরা সাধারণত তাদের পুরনো গাড়িকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে বিক্রি করে থাকেন। তবে বিক্রি করার পরও নতুন গাড়ি কেনা অনেক ব্যয়বহুল। দিল্লি সরকারের এই পদক্ষেপের পর পুরনো যানবাহনের মালিকদের সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তুলনামূলক কম খরচে পুরনো পেট্রোল-ডিজেল গাড়িকে ইলেকট্রিক কারে বদলে অনেক সাশ্রয় করা যাবে।
পুরনো গাড়িকে ইলেকট্রিক কারের সঙ্গে রেট্রোফিটিং
পুরনো গাড়িতে ইলেকট্রিক কিটের ইনস্টলার অবশ্যই ইলেকট্রিক কিট প্রস্তুতকারক কোম্পানি বা ডিলার দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। শুধুমাত্র সরকার স্বীকৃত কোম্পানিগুলিও ইলেকট্রিক কিটের রেট্রোফিটিং করতে পারবে। এছাড়া, কোনও একটি গাড়িতে ইলেকট্রিক কিট ইনস্টল করা সম্ভব কি না তা কিট প্রস্তুতকারক কোম্পানিই ঠিক করবে। ইলেকট্রিক কিট লাগানোর পর বছরে অন্তত একবার গাড়ির ফিটনেস টেস্ট করতে হবে।
আরও পড়ুন: Edible Oil: বিরাট ঝটকা! ভোজ্য তেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি, তুমুল চাপে মধ্যবিত্ত
কম দূষণের লক্ষ্য
দিল্লির সড়ক থেকে পুরনো পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল রাজধানীতে দূষণের পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখা। একটি পুরনো গাড়িকে ইলেকট্রিক কারে রূপান্তরিত করতে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে যা নতুন গাড়ি কেনার খরচের তুলনায় অনেক কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিল্লিতে ১৫ বছর বা তার বেশি পুরনো পেট্রোল চালিত যানবাহনের সংখ্যা ২৮ লক্ষ। অন্য দিকে, ডিজেল চালিত পুরনো গাড়ির সংখ্যা প্রায় ১.৫ লক্ষ।