বিমা বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন জীবন বিমা বা স্বাস্থ্য বিমা। প্রত্যেকটি বিমার ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই কারণে যে কোনও বিমা নেওয়ার সমস্ত বিষয়গুলি জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয় যাতে ভবিষ্যতে ক্লেম করতে সমস্যা না হয়।
আরও পড়ুন- এই ৫টি কাজ করে ফেললেই কেল্লাফতে! ৩০ পেরোতে না-পেরোতেই হয়ে যাবেন কোটিপতি!
advertisement
জীবন বিমা ক্লেম রিজেক্ট হয়ে গেলে অনেক সমসার মুখোমুখি হতে হয়। যদি বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর জীবন বিমার টাকা না পাওয়া যায় তবে তা পরিবারের জন্য খুবই সমস্যার সৃষ্টি করে। এই কারণে গ্রাহকের মৃত্যুর পর ক্লেম যাতে কোনও ভাবেই রিজেক্ট না হয় তা বিমা শুরু করার সময় নিশ্চিত করতে হবে।
ভুল তথ্য
সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদি গ্রাহক জীবন বিমা নেওয়ার সময় কোনও ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে বিমা ক্লেম রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। পলিসিতে বিনিয়োগ করার সময় স্বাস্থ্য, বয়স, ওজন, উচ্চতা বা আয় সংক্রান্ত যে কোনও একটা ছোট ভুল তথ্যের কারণে বিমা ক্লেম রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে।
সময়মতো প্রিমিয়াম না দেওয়া
জীবন বিমা তখনই সক্রিয় থাকে যখন গ্রাহক সময়মতো কিস্তির টাকা পরিশোধ করেন। বিমা কোম্পানিগুলিও বকেয়া প্রিমিয়াম পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় দেয়। স্ক্রিপবক্সের চিফ বিজনেস অফিসার অনূপ বনশল বলেছেন, গ্রাহক যদি গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যেও প্রিমিয়াম না দেন সেক্ষেত্রে তাঁর বিমা বাতিল করে দেওয়া হয়।
কন্টেস্ট পিরিয়ড
বিমা পলিসি নেওয়ার পরের ২ বছর পর্যন্ত সময়কালকে কন্টেস্ট পিরিয়ড বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে গ্রাহকের মৃত্যু হলে বিমা ক্লেম রিজেক্ট করা হয়। তবে সমস্ত বিমার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। কন্টেস্ট পিরিয়ড চলাকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানি যাচাই করে দেখে যে গ্রাহক বিমা করার সময় সমস্ত সঠিক তথ্য প্রদান করেছেন কি না।
আরও পড়ুন- সোনা ও রুপোর দামে ভারী পতন, দেখে নিন আপনার শহরে ১০ গ্রামের দাম
নমিনি না থাকা
বেশিরভাগ মানুষই বিমা করার সময় তাঁদের অভিভাবক বা সন্তানদের নমিনি হিসেবে মনোনীত করে থাকেন। এবার যদি নমিনির মৃত্যুর পর বিমা ক্লেম করা হয় সেক্ষেত্রে কোম্পানি সোজাসুজি ক্লেম রিজেক্ট করে দেয়। এই কারণে বিমা করার সময় একের বেশি নমিনি রাখা উচিত।