আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে ৪ টাকা প্রতি লিটারে দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের, দেখে নিন আজ কত বাড়ল
মেয়াদ ও লোনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সুদের হার ওঠা-নামা করতে থাকে। কম সময়ের জন্য ঋণ নিলে সুদের হার তুলনামূলক চড়া হয় এবং লম্বা মেয়াদের জন্য লোন নিলে সুদের হার কম হয়। যেমন-- স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্রিজ হোম লোন প্যাকেজে সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য ঋণ নেওয়া যায় এবং এই স্কিমের বার্ষিক সুদের হার ৯.৫০% থেকে শুরু হবে। অন্য দিকে, SBI হোম লোন স্কিমটির মেয়াদ ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং বার্ষিক সুদের হার ৬.৭৫ থেকে শুরু হয়। একই ভাবে প্রত্যেক ব্যাঙ্কের যোগ্যতার মাপকাঠি ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু ঋণদাতা শুধুমাত্র বেতনভোগীদের লোন দেয়। আবার এমন অনেক ব্যাঙ্কও রয়েছে, যারা স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের হোম লোনের সুবিধা প্রদান করে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬ মাসে বিনিয়োগকারীদের কোটিপতি করেছে এই শেয়ার, আপনার কাছে আছে?
এ ছাড়া গ্রাহক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন হিসেবে পাবেন, তার মানদণ্ডও ব্যাঙ্ক অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকে। কোনও ব্যাঙ্কে গ্রাহক ৫ কোটির জন্য যোগ্য হতে পারেন, আবার অন্য কোনও ঋণদাতা ওই গ্রাহককে তার থেকেও বেশি পরিমাণ ঋণের অনুমোদন দিতে পারে। এ ছাড়া লোন নেওয়ার সময় এককালীন প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হয়।
হোম লোনের জন্য আবেদন করার সময় কী কী করবেন?
- কোনও ব্যাঙ্কে লোনের জন্য আবেদন করার আগে গ্রাহককে প্রয়োজন এবং মেয়াদ স্থির করতে হবে।
- ঋণদাতার কাছে কী কী লোন স্কিম রয়েছে, তার সম্বন্ধে ইন্টারনেটে রিসার্চ করে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
- লোন পরিশোধের সময় প্রি-পেমেন্ট এবং ফোরক্লোজারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনও চার্জ রয়েছে কি না, সেটা দেখে নিতে হবে।
- কোনও গুপ্ত ফি বা হিডেন চার্জ রয়েছে কি না, সেটাও ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে।
- ঋণের টাকা হাতে পাওয়ার আগে গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে যে, তিনি মাসিক কিস্তি (EMI) সময়মতো জমা দিতে পারবেন কি না।
- গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর ব্যাঙ্কের যোগ্যতার মানদণ্ডের সাথে মিলছে কি না, সেটাও দেখে নিতে হবে। ক্রেডিট স্কোর খারাপ থাকলে আবেদন করা যাবে না। কারণ গ্রাহকের সেই আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
- পরিশোধের সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে যে, কত টাকা ঋণ দরকার।
- স্থিতিশীল মাসিক আয়ের উৎস নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: নামমাত্র বার্ষিক ফি-তে মিলবে এই ৬ ক্রেডিট কার্ড, মিলবে আকর্ষণীয় অফারও!
হোম লোনের জন্য আবেদন করার সময় কি কি করবেন না?
- লোন নেওয়ার সময় অন্ধের মতো সমস্ত নথিতে স্বাক্ষর করবেন না। প্রতিটি শর্ত ভালোভাবে পড়ে স্বাক্ষর করুন।
- কোনও ব্যাঙ্কে ঋণ নেওয়ার আগে অন্যান্য লোনদাতাদের সুদের হার তুলনা করে দেখুন।
- নিজের অন্যান্য মাসিক বিলগুলি স্থগিত করে রাখবেব না। সময়মত বকেয়া বিল জমা না দিলে ক্রেডিট স্কোরের ওপর প্রভাব পড়বে।
- একই লোনের জন্য একাধিক জায়গায় আবেদন করবেন না।
- একটি ব্যাঙ্কে একবার আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে অন্যান্য জায়গায় অনুমোদনের সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। সেই কারনে তৎক্ষণাৎ অন্য ব্যাঙ্কে আবেদন করবে না।
- যদি আপনার একের বেশি লোন থাকে যার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি তবে নতুন করে লোনের জন্য আবেদন করবেন না।