কড়কনাথের পাশাপাশি টার্কি মুরগির চাষও শুরু করেছেন। গৌরীরানি দাসের সাফল্যের অন্যতম কারণ করকনাথ মুরগির উপকারিতা। এই মুরগির মাংসে কোলেস্টেরল খুবই কম থাকে, ফলে হৃদরোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ক্রেতারা প্রোটিন সমৃদ্ধ মাংস ও ডিমের খোঁজে তার কাছে বারবার আসছেন। করকনাথ মুরগির ডিম ও মাংসে আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বেশি থাকায় রক্তশূন্যতা, হাড় দুর্বলতা কিংবা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এটি আদর্শ খাবার। অনেক ডাক্তারই এখন রোগীদের করকনাথ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে বাজারে এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির উঠোনে লাখ টাকার গাছ, দেশ বিদেশে যার ফুলের চাহিদা তুমুল !
বর্তমানে কড়কনাথ মুরগির চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনই গৌরীরানি দাসের ব্যবসাও ক্রমশ প্রসার পাচ্ছে। তার দাবি, সাধারণ মুরগির তুলনায় করকনাথ অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। তবুও মানুষ স্বাস্থ্যগত কারণে দামের তোয়াক্কা না করেই এই মুরগি কিনছেন। শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গাতেই করকনাথের চাহিদা বাড়ছে। তার কাছ থেকেও অনেকে একসঙ্গে ডিম ও বাচ্চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই মুরগির চাষ শুরু করতে খুব বেশি খরচের প্রয়োজন নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা, পর্যাপ্ত খাবার আর নিয়মিত টিকা থাকলেই এই মুরগি দ্রুত বেড়ে ওঠে। তার অভিজ্ঞতা, “অল্প পুঁজিতে, কম সময় ও কম পরিশ্রমে বাড়ির পাশেই আয়ের নতুন পথ তৈরি করা সম্ভব।”
আরও পড়ুন: আপনি কত গ্র্যাচুইটি পাবেন, তা জানতে পারবেন কয়েক মিনিটের মধ্যেই, শুধু এই সূত্রটি বুঝুন
গৌরীরানি দাসের এই সাফল্যের গল্প আজ এলাকার অন্য মহিলাদের জন্যও অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন, চেষ্টা আর ইচ্ছা থাকলে বাড়ির আঙিনাতেই দাঁড় করান যায় বড় ব্যবসা। কড়কনাথ মুরগির চাষকে তিনি শুধু আয়ের মাধ্যমই করেননি, বরং এটিকে স্বাস্থ্যকর জীবনের এক অপরিহার্য অংশ করে তুলেছেন।
মদন মাইতি