বর্তমানে এখন এই রেশম পোকা প্রতিপালন করে চলেছে পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের নারায়ণগড় তসর বীজ সরবরাহ কেন্দ্র। যেখানে এলাকার বহু মানুষ গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার করছেন।
আরও পড়ুন: বারোমাসি এই ফল চাষে খরচ কম, ফলন দ্বিগুন! লাভও হবে বিপুল
রেশম পোকা প্রতিপালন করে তারা গড়ে তুলছেন একটি নতুন জীবিকা, যা শুধু তাদের সংসার নয়, প্রাণ ফিরিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।
advertisement
এই কেন্দ্রটির মূল কাজ হল উন্নতমানের তসর বীজ বা ডিম সরবরাহ করা এবং কেন্দ্রের মধ্যেই থাকা ঘন জঙ্গলে রেশম পোকা প্রতিপালন করা। যেখানে গ্রামের চাষিরা আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এই পোকা প্রতিপালন করছেন। জানা যায়, বর্ষাকালে এই তসর পোকা চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, রোগ-বালাই এবং পাখিদের জন্য এই চাষ অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্তমানে সরকারি সহায়তায় এবং গবেষণা সংস্থার সাহায্যে গ্রামের চাষিরা এই পদ্ধতিতে রেশম সুতো প্রক্রিয়াকরণের এই প্রযুক্তি গ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: কম পুঁজিতে বেশি লাভ মানেই রঙিন মাছের ব্যবসা !
জানা যায়, এই চাষের জন্য প্রথমে সুস্থ ও সবল তসর রেশম পোকার ডিম সংগ্রহ করা হয়। ডিম থেকে লার্ভা বা পোকা বের হওয়ার পর, তাদের এইভাবে উপযুক্ত পরিবেশে প্রতিপালন করতে হয়।
তসর রেশম পোকা সাধারণত শাল ও অর্জুন গাছের পাতা খায়। যার জন্য এই পোকা গুলোকে শাল অথবা অর্জুন গাছেই প্রতিপালন করতে হয়। বর্তমানে নারায়ণগড়ের মাটিতে পোকাদের প্রতিপালন যেমন চলছে, তেমনই গড়ে উঠছে কারিগরি দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং এক নতুন আশা।
শান্তনু দাস