একসময় ধনী পরিবারের মধ্যে এই রঙিন মাছের শখ বেশি দেখা যেত। কিন্তু দিনে দিনে শহর থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে অ্যাকোরিয়ামে রঙিন মাছ রাখার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে বর্তমানে রঙিন মাছের বাজার দারুন। অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করে। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলে, খুচরো বিক্রির পাশাপাশি পাইকারি রঙিন মাছের ব্যবসার দিকে এগোতে পারলে লাভ আরও বেশি। বর্তমানে হাওড়া শহরে বহু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে রঙিন মাছ এবং জেলায় উৎপাদিত রঙিন মাছ সংগ্রহ করে ভিন রাজ্যে রপ্তানি করে থাকে। সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের থেকে পাইকারি দরে বিভিন্ন ভ্যারাইটি রঙিন মাছ নিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
advertisement
নতুন উদ্যোগীদের ক্ষেত্রে, যে কোন জিনিস উৎপাদন করা সম্ভব হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে বাজার ধরা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই দিক থেকে হাওড়া এ রঙিন মাছের ব্যবসার সুবিধা হল, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সরস্বতী ব্রীজের কাছেই রঙিন মাছের হাট। যেখানে ব্যবসায়ী মাত্র ১০০ টাকা দৈনিক খরচে শুক্রবার এবং রবিবার সপ্তাহে দু\’দিন রঙিন মাছের হাটে বসতে পারেন। হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এবং জেলার বাইরে থেকেও ক্রেতা আসে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে ২ বছরের জন্য ১ লাখ টাকা জমা করলে কত রিটার্ন পাবেন ?
বিভিন্ন রকম ও বিভিন্ন দামের রঙিন মাছের পাশাপাশি অ্যাকোরিয়াম এবং মাছের খাবার এবং রঙিন মাছের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করেও ভাল লাভের সুযোগ। ইতিমধ্যেই এই ব্যবসায় আগ্রহ দেখিয়ে বহু যুবক যুবতী প্রতিষ্ঠিত রঙিন মাছের ব্যবসায়।
অল্প দিনে রঙিন মাছ ব্যবসা করে আশার আলো দেখছেন হাওড়া’র নব মন্ডল।
রাকেশ মাইতি