আরও পড়ুন : এই সেভিংস স্কিমে মাত্র ১৫০ টাকা করে ইনভেস্ট করে পেয়ে যাবেন ২০ লক্ষ টাকা!
সরকার-সমর্থিত বিনিয়োগ প্রকল্পগুলিতে (Govt Scheme) লাভজনক রিটার্নও দেয়। বাজারে সুদের হার ক্রমশ নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতেও ৬ থেকে ৭ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে তিনটি সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্প। প্রবীণ নাগরিকরা এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ (Govt Savings Scheme) করলে যেমন উচ্চ হারে রিটার্ন পাবেন তেমনই টাকাও থাকবে সুরক্ষিত। এবার দেখে নেওয়া যাক ৩ প্রকল্পের খুঁটিনাটি।
advertisement
১। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম: বিনিয়োগের (Govt Scheme) ক্ষেত্রে জনপ্রিয় সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (Govt Savings Scheme)। এই বাজারেও ৭.৪০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এই যোজনাতেও ৯ বছরে দ্বিগুণ হয়ে যায় টাকা। বিনিয়োগের পর প্রথমে ৩১মার্চ, ৩০ সেপ্টেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর এই ইন্টারেস্ট পাবেন সিনিয়র সিটেজেনরা। পরবর্তীকালে ৩১মার্চ,৩০ জুন, ৩০ সেপ্টেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর সুদ পেতে থাকবেন আমানতকারীরা। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একলপ্তে এই টাকা দিতে হবে প্রকল্পে। জমার টাকার পরিমাণ অবশ্যই ১০০০টাকার গুণিতকে জমা দিতে হবে। কোনওভাবেই এই প্রকল্পে ১৫,০০,০০০ টাকা বেশি রাখতে পারবেন না আমানতকারী।
সুবিধাগুলি একনজরে –
সুদের হার – ৭.৪০ শতাংশ।
কিস্তির টাকা – ত্রৈমাসিক।
মেয়াদ – ৫ বছর।
মেয়াদ শেষের আগে টাকা তোলা যাবে? – হ্যাঁ (জরিমানা দিতে হবে)।
করযোগ্য – রিটার্ন করযোগ্য,
ন্যূনতম বিনিয়োগ – ১০০০ টাকা।
সর্বোচ্চ বিনিয়োগ – ১৫ লাখ। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৩০ লাখ।
২। প্রধানমন্ত্রী বয়ঃ বন্দনা যোজনা
বার্ষিক ৭.৪০ শতাংশ সুদের হারে ১০০০ টাকা থেকে ৯২৫০ টাকা পর্যন্ত এই স্কিমে পেনশন পাওয়া যায়।৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিক এই স্কিমে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এই বিনিয়োগের অঙ্কের ওপরই উপর প্রতি মাসের পেনশন নির্ভর করে। এই স্কিম অনুসারে নাগরিকদের প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ৯২৫০ টাকা পেনশন দেওয়া হয়। কেউ যদি ন্যূনতম ১.৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা পেনশন পাবেন। একইভাবে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ৯২৫০ টাকা পেনশন পাবেন বিনয়োগকারী। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বিনিয়োগ করা যায়। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের অঙ্ক দাঁড়াবে ৩০ লক্ষ টাকা। তাহলে দুজনের পেনশন হবে মাসিক ১৮,৫০০ টাকা।
সুবিধাগুলি একনজরে –
সুদের হার – ৭.৪০ শতাংশ।
কিস্তির টাকা – মাসিক/ত্রৈমাসিক/ষাণ্মাসিক/ বার্ষিক
মেয়াদ – ১০ বছর।
মেয়াদ শেষের আগে টাকা তোলা যাবে? – হ্যাঁ (ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে)।
করযোগ্য – রিটার্ন করযোগ্য,
ন্যূনতম বিনিয়োগ – ১.৫৭ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ বিনিয়োগ – ১৫ লাখ। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৩০ লাখ।
৩। পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম
এই স্কিমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা রাখতে পারেন গ্রাহক। সেই ক্ষেত্রে একা বা যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলে এই টাকা রাখা যেতে পারে। সেই টাকার পরিমাণের ভিত্তিতে প্রতি মাসে গ্রাহকের কাছে টাকা আসতে থাকবে। পোস্ট অফিসের এই মান্থলি ইনকাম স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। একবার মেয়াদ শেষ হলে ফের ৫ বছরের জন্য এই টাকা রাখার মেয়াদ বাড়ানো যায়। এই বিনিয়োগে কোনও ধরনের ঝুঁকি নেই। এই স্কিমে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত টাকা ফেরতের গ্যারান্টি থাকছে সরকারের। বর্তমানে এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ হারে সুদ মিলছে।
সুবিধাগুলি একনজরে –
সুদের হার – ৬.৬০ শতাংশ।
কিস্তির টাকা – মাসিক
মেয়াদ – ৫ বছর।
মেয়াদ শেষের আগে টাকা তোলা যাবে? – হ্যাঁ (জরিমানা দিতে হবে)।
করযোগ্য – রিটার্ন করযোগ্য,
ন্যূনতম বিনিয়োগ – ১০০০ টাকা।
সর্বোচ্চ বিনিয়োগ – ৪.৫ লাখ। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৯ লাখ।
