তাদের অনুমান, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ থেকে ৭.২ শতাংশ। এর আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই হার ৭.৬ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। ইন্ডিয়া রেটিংস বলছে, আগামী তিন মাস যদি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এই রকম থাকে তাহলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭.২ শতাংশ। আর যদি আগামী ছয় মাস তেলের দাম বর্তমান স্তরে থাকে তাহলে বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে নেমে আসবে।
advertisement
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশীয় বাজারেও। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। যার কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনাকাটা করছেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে ধাক্কা খাচ্ছে বাজার। ইন্ডিয়া রেটিং-এর অনুমান, ২০২২-২৩ সালে দেশের আমজনতার ব্যক্তিগত খরচ ৮ থেকে ৮.১ শতাংশে নেমে আসবে। এর আগে তারা এটা ৯.৪ শতাংশ বলে অনুমান করেছিল।
রেটিং এজেন্সির মতে, যদি তিন মাস অপরিশোধিত তেলের দাম বর্তমান স্তরে থাকে, তাহলে গড় খুচরো মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫.৮ শতাংশ। এ অবস্থা ছয় মাস চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি প্রায় অর্ধ শতাংশ বেড়ে ৬.২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর আগে তারা ৪.৮ শতাংশ খুচরো মূল্যস্ফীতির অনুমান করেছিল।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৭০ টাকা বিনিয়োগ করে লাখপতি, মিলবে সুদের উপর সুদ, দেখুন কীভাবে!
এবারের বাজেট পেশের আগেরদিনে সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। সেই সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, চলতি বছর (২০২১-২২ অর্থবর্ষ) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.২ শতাংশ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস টিকাকরণ, জোগান সংক্রান্ত খাতে সংস্কার, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল, রফতানি বৃদ্ধি, মূলধনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধির মতো বিষয়ের সমর্থন পাবে ভারতের অর্থনীতি। কিন্তু ইন্ডিয়া রেটিং-এর এই অনুমান তাতে জল ঢেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গল বেঞ্চের লাগাতার 'বিস্ফোরণ', সরে দাঁড়াল ডিভিশন বেঞ্চ! হাই কোর্টে বেনজির ঘটনা
আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ আগেই বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতিকে প্রাক-কোভিড অবস্থায় পৌঁছতে ২০২৫ সাল পেরিয়ে যাবে। কিন্তু বৃদ্ধির হার এত কম হলে, জিডিপির তুলনায় রাজকোষ ঘাটতি কিংবা দেনার হার কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের দুশ্চিন্তা যথেষ্ট।