তাঁর বর্তমান এসআইপিগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাক্সিস ব্লুচিপ (এবিএসএল ফ্রন্টলাইন ইক্যুইটি থেকে স্থানান্তরিত করা), পিজিআইএম ইন্ডিয়া মিডক্যাপ অপরচুনিটিজ (একটি নতুন SIP) এবং কানাড়া রোবেকো এমার্জিং ইক্যুইটি (গত ৩ বছর ধরে বিনিয়োগ)।
এই ৩টি ফান্ডে তিনি মাসে ৫,০০০ টাকা করে লগ্নি করে। এছাড়া, তিনি মিরা অ্যাসেট এমার্জিং ব্লুচিপ ফান্ডে মাসিক ৩,০০০ টাকা (গত ৩ বছর ধরে বিনিয়োগ) এবং অ্যাক্সিস স্মলক্যাপে (নতুন SIP, L&T মিডক্যাপ থেকে স্থানান্তরণ) ২,০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন।
advertisement
তিনি মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার এবং ফিক্সড ডিপোজিটে এককালীন টাকাও বিনিয়োগ করেছেন। ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে তাঁর (এবং নিয়োগকর্তার) মাসিক অবদান ১৮,০০০ টাকা। তাঁর কোনও ঋণ নেই এবং তাঁর লক্ষ্য বেশি টাকা উপার্জন করা। তাঁর লক্ষ্য হল ১.৫ কোটি টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকার একটি হেলথ প্ল্যান। তিনি বলেছেন তিনি ঝুঁকি নিতে চান এবং তাঁর লক্ষ্য হল দীর্ঘমেয়াদী রিটার্ন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর কীরকম বিনিয়োগ করা উচিত?
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের লক্ষ্য এবং ঝুঁকির থেকে দেখা গেলে এই ব্যক্তির পোর্টফোলিও সঠিক পথে রয়েছে। তিনি তাঁর ফান্ডের এক চতুর্থাংশ একটি লার্জ-ক্যাপ ফান্ডে, ৪০ শতাংশ লার্জ এবং মিড-ক্যাপ মিশ্রিত ফান্ডে এবং অবশিষ্ট ৩৫ শতাংশ মিড এবং স্মল-ক্যাপ তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন। এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পুজোতে কেন্দ্রীয় কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হচ্ছে ? আসল সত্যিটা কী? কী জানাল সরকার!
সমস্ত বিনিয়োগই ইক্যুইটি মার্কেটে এবং বিনিয়োগের অর্ধাংশই সেখানে রয়েছে। এনপিএস প্ল্যানে, ফিক্সড ডিপোজিট এবং আরও কিছু বিনিয়োগ ডেবট বিনিয়োগের আকারে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, বিনিয়োগকারীর বয়স, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং মেয়াদ সবমিলিয়ে এটি বিনিয়োগের ভাল মিশ্রণ।
ঋণমুক্ত হওয়া এবং বিমা পরিকল্পনা থাকাও ভাল আর্থিক পরিকল্পনার পরিচয় দেয়। বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডগুলিও বেশ ভাল। এই ভাবে বিনিয়োগ করলে যে কেউ উপকৃত হবেন, বলছে বিশেষজ্ঞমহল।