বাজেট -
সবার প্রথমেই নিজেদের একটি বাজেট করা প্রয়োজন। প্রতি মাসে কত টাকা খরচ হবে সেই অনুযায়ী বাজেট করে রাখলে কত টাকা বিনিয়োগ করা সম্ভব তার ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার হিসাব রাখা প্রয়োজন। কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে তার ধারণা থাকলে অন্য জায়গায় সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ করা সম্ভব।
advertisement
নিজের লক্ষ্যের সমীক্ষা -
নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি সমীক্ষা করা প্রয়োজন। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কত টাকার প্রয়োজন এবং কত টাকা বিনিয়োগ করা সম্ভব সেই অনুযায়ী সমীক্ষা করা প্রয়োজন। এর ফলে সহজেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বয়স অনুযায়ী নিজেদের লক্ষ্য পরিবর্তন হয়। এর ফলে নিজেদের আয় অনুযায়ী নিজেদের লক্ষ্যের সমীক্ষা করে সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ১০৫ টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, দেখে নিন আপনাকে কত টাকা দিতে হবে
বিনিয়োগের পোর্টফোলিও রিভিউ -
বিনিয়োগ শুরু করার পর সবসময় নিজেদের পোর্টফোলিও রিভিউ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের বিনিয়োগের পোর্টফোলিও দেখে বোঝা প্রয়োজন কোথায় বিনিয়োগ করলে বেশি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। অনেক আগে থেকেই বিনিয়োগ করা শুরু করলে নিজেদের বিনিয়োগের পোর্টফলিওর সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পোর্টফোলিও মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন। নতুন বিনিয়োগ শুরু করলে আগে বিশেষজ্ঞদের পোর্টফলিও দেখে তারপর সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ শুরু করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ট্রানজাকশন দারুণ কাজের, মোবাইল ওয়ালেট সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি কি জানেন?
ইনস্যুরেন্স কভার -
জরুরি সময়ে বিমা খুব সাহায্য করে থাকে। এর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সঙ্গে সঙ্গে বিমা করে রাখা প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের বিমা কী কী কভার করে সেই বুঝে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিমা রয়েছে। নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিমা বেছে নেওয়া প্রয়োজন।
ট্যাক্সের প্ল্যানিং -
নিজেদের আর্থিক ভিত মজবুত করার জন্য ট্যাক্সের প্ল্যানিং করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আর্থিক বর্ষের শুরুতেই নিজেদের ট্যাক্সের প্ল্যানিং করে নেওয়া যায়, তাহলে বছরের শেষে খুব বেশি অসুবিধা হয় না। এর ফলে কিছু টাকা বাঁচানো সম্ভব হয়। বছরের শুরুতেই এই প্ল্যান করে নেওয়ার ফলে পুরো বছর ধরে নিজেদের বিনিয়োগ উপযুক্ত জায়গায় করা সম্ভব হয়।