এত দিন পর্যন্ত প্রায় ঐতিহ্যই হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে জনৈক কর্মী অবসরের সময়ে এক লপ্তে সারা কর্মজীবনে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হওয়া টাকা তুলবেন। অথবা তুলবেন কোনও সংস্থায় কাজ ছেড়ে দিলে। তবে ওই, করোনা মহামারী তো আমাদের প্রথাগত যাপনের অনেক কিছুই এক ধাক্কায় বদলে দিয়েছে আমূল। তার হাত ধরে বিপদকালে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হওয়া টাকা তোলার ক্ষেত্রেও নয়া নিয়ম জারি হয়েছে। এখন নিয়ম হল এই যে কেউ যদি এক মাস বা তার বেশি মেয়াদে কর্মহীন থাকেন, তবে তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা থাকা মোট অঙ্কের ৭৫ শতাংশ তুলে নিতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিসলেরি কিনছে টাটা, ৭০০০ কোটি টাকার চুক্তি, জেনে নিন ৫ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট!
কিন্তু যদি নিচের ৫ বিষয়ে ভুল থাকে, তাহলে ভাঁড়ে মা ভবানী, মানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা টাকা হাত পর্যন্ত আর পৌঁছবে না, সেগুলো কী দেখে নেওয়া যাক-
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউএএন নম্বরের যোগ
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যদি ইউএএন বা ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে যোগ করা না থাকে, তাহলে টাকা পেতে অসুবিধা হতে পারে। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোডও ঠিক মতো জমা করতে হবে।
অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি
কেওয়াইসি যদি বিশদে এবং সঠিক ভাবে করা না হয়ে থাকে, তাহলে টাকা পাওয়া যাবে না, অতএব এই বিষয়েও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
ভুল জন্মতারিখ
জন্মতারিখে কোনও ভাবেই কোনও গোলযোগ হওয়া কাম্য নয়। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা দরকার- আধার কার্ডে যে জন্মতারিখের উল্লেখ আছে, সেটাই যেন প্রামাণ্য হয়।
আরও পড়ুন: Gold Price Today: ফের মধ্যবিত্তের জন্য বড় খবর! প্রতি গ্রামে সোনার দামে পতন
ইউএএন-আধার যোগ
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো ইউএএন নম্বর আর আধার কার্ডেরও সংযুক্তিকরণ প্রয়োজন, কেন না আধারে উল্লিখিত তথ্যই এক্ষেত্রে কেবল গ্রহণযোগ্য।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভুল তথ্য
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ এবং সঠিক তথ্য যদি দেওয়া না হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠান মঞ্জুর করে দিলেও টাকা ট্রান্সফার হবে না, সুতরাং এই বিষয়েও কোনও ভুল না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।