ইতিমধ্যেই সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্প বসানো হয়েছে এবং কৃষকদেরও সচেতন করা হচ্ছে ভেজাল সার না কেনার জন্য। ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, সার-সহ বিভিন্ন প্রকার সারে মেশানো হচ্ছে ভেজাল সামগ্রী। কৃষি কাজে এই ভেজাল সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা কমছে এবং ফসলের উৎপাদন কম হচ্ছে পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লটারি নিয়ে সুখবর…! সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ‘সিদ্ধান্ত’, রাজ্যে রাজ্যে এল বিরাট আপডেট
advertisement
কিন্তু কী ভাবে চিনবেন এই ভেজাল সার? এ ব্যাপারে বিশিষ্ট কৃষিবিদ রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি জানান, যদিও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে একমাত্র ভেজাল সার চেনা যায়। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু কিছু উপায়ে ভেজাল সার চেনা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী উপায়।
ইউরিয়া সার: এই সারে ভেজাল শনাক্ত করা যায়। আসল এক চামচ ইউরিয়া সার দু’চামচ জলের মধ্যে দিলে তৎক্ষণাৎ জলে স্বচ্ছ দ্রবণ তৈরি করবে। এবং দ্রবণে হাত দিলে ঠান্ডা অনুভুতি হবে। সার যদি ভেজাল হয় তবে দ্রবণে ঠান্ডা অনুভূতি হবে না। এটাই ইউরিয়া সার চেনার একমাত্র সহজ উপায়।
টিএসপি: টিএসপি সার বেশ শক্ত দুটো আঙ্গুলের নখের মাঝে রেখে দিলে সহজে ভেঙ্গে যাবে না। কিন্তু ভেজাল টিএসপি অপেক্ষাকৃত নরম হওয়ায় দুটো বুড়ো আঙ্গুলের নখের মাঝে রেখে দিলে সহজে ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘মিথ্যা’ বললে শরীরের কোন ‘অংশ’ গরম হয়ে যায় বলুন তো…? চমকে দেবে ‘গবেষণা’!
ডিএপি: হাতের তালুতে সামান্য পরিমাণ পান খাওয়ার চুন নিয়ে তার মধ্যে দুই থেকে তিন দানা সার মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাকের কাছে ধরলে অ্যামোনিয়ার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যাবে।
ভেজাল সারে অ্যামোনিয়ার তীব্র ঝাজালো গন্ধ পাওয়া যাবে না।এইভাবে কিছু কিছু ভেজাল সার পরীক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়াও পটাশের লাল রং হয় ইটের গুঁড়ো মিশ্রিত থাকলে। এর রং আরো গাঢ় লাল হয়ে থাকে। তবে যে কোনও সার কিনতে গেলে অবশ্যই ব্র্যান্ডেড কোম্পানি থেকেই সার কিনুন। প্যাকিং সব সময় দেখে কিনতে হবে।
পিয়া গুপ্তা