আরও পড়ুন: সুন্দরবনে সাদা শূকর পালনে জোর উদ্যানপালন দফতরের
টার্কি প্রতিপালনকারী পরেশ বিশ্বাস জানান, “বর্তমান সময়ে পরীক্ষামূলক ভাবে বাড়িতে এই টার্কি পালন করছেন তিনি। অচেনা পাখি দেখে অনেকেই কৌতূহল প্রকাশ করে থাকেন। নতুন প্রজাতির এই পাখি কিনেও নিয়ে যান অনেকে। দেশি মুরগির মতোই এই টার্কি বাড়িতে ছেড়ে রেখে পালন করা যায় খুব সহজেই। এঁরা মূলত ঘাস এবং সবজি খেয়ে থাকে। তবে ছোট অবস্থায় এঁরা মুরগির খাদ্যই খেতে পারে। তবে এই বিলাতি পাখি পালন করে লাভ রয়েছে বেশ অনেকটা। এই পাখির প্রতি কেজি মাংস প্রায় ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক একটি পাখি থেকে ৫ থেকে ৬ কিলো মাংস হয় সহজেই।”
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী দিনে বারুইপুরের পেয়ারা চাষ সঙ্কটে পড়বে বলেই আশঙ্কা চাষিদের, কিন্তু কেন ?
তিনি আরও জানান, “ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বেরোনোর ছয় মাসের মধ্যেই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায় এই পাখি। তারপর ডিম দিতে শুরু করে। ছয় মাসের মেয়ে টার্কির ওজন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কেজি এবং পুরুষ পাখিদের ক্ষেত্রে আট কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই বাচ্চা অন্তত দশ দিনের বয়সী কিনতে গেলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি পিস দাম লাগে। একেবারে বাড়ি পর্যন্ত আনতে।”
পুষ্টিবিদ দিব্যা নাজ জানান, “এই পাখির মাংসে ক্যালোরি ও কোলেস্টেরল কম থাকে, তবে প্রোটিন থাকে বেশি। তাই এই মাংস খাওয়া অনেকটাই উপকারী বলে প্রমাণিত।” রাজ্য প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন উদ্যোগ নিয়েছে। তাই বর্তমানে হাঁস, কোয়েল পাখির পাশাপশি এখন টার্কির মাংসও বিক্রি শুরু হচ্ছে বিভিন্ন জেলা গুলিতে।
Sarthak Pandit