আরও পড়ুন: এটা না করলে বন্ধ হয়ে যাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, সতর্ক করল স্টেট ব্যাঙ্ক!
প্রপার্টি পিস্তল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আশিস নারায়ণ আগরওয়াল বলছেন, ‘আয়কর বাঁচাতে অনেকেই রিয়েল এস্টেটে কেনাকাটা করেন। তবে কেবলমাত্র আয়কর বাঁচানোর জন্য বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত বোকামি। কারণ বাড়ি কিনতে গেলে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন হবে। তাই এটাকে আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। কেনার পক্ষে বা বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আগাম খরচ, মোট খরচ, মর্টগেজ খরচ, এইসব জিনিসও পর্যালোচনা করতে হবে’।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির মধ্যে কত হল পেট্রোল-ডিজেলের দাম ....
হোম লোনে ট্যাক্স ছাড় এবং আয়কর স্ল্যাব: কর ছাড় পাওয়া যায় এমন বিকল্প ক্ষেত্রগুলি খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মাইফান্ডবাজার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিএমও শ্রুতি খান্ডারের কথায়, ‘যদি কেউ ৩০ শতাংশের আয়কর স্ল্যাবের মধ্যে পড়েন তাহলে ট্যাক্স এড়াতে বাড়ি কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া পরিবারের প্রবীণ সদস্য-সহ সবার মেডিক্লেম করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে বার্ষিক মেডিক্লেম প্রিমিয়ামের উপর বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকা আয়কর ছাড় দাবি করা যায়। আবার যদি কেউ এনপিএস-এ বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে এক অর্থবর্ষে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগের উপর ৮০ সিসিডি ধারায় অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধে দেয়’।
আরও পড়ুন: NPS এর নিয়মে বড়সড় বদল! এই বয়স পর্যন্ত পেনশনের বিরাট সুবিধা, সুরক্ষিত ভবিষ্যত
সেবি-র কর এবং বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেন, ‘গৃহঋণ পরিশোধ করার সময়, একজন করদাতা এক অর্থবর্ষে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের উপর করছাড় দাবি করতে পারেন। আয়করের ধারা-২৪ বি অনুসারে, গৃহঋণের সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকার সুদে কর ছাড় মেলে। যেখানে, ঋণের মূল পরিমাণ পরিশোধের জন্য প্রদত্ত ইএমআই-তে, ধারা-৮০ সি-র অধীনে কর সঞ্চয় করা হয়েছে। এই বিভাগের অধীনে বিমা, সঞ্চয় ইত্যাদিতে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করা যায়। যদি কেউ বার্ষিক ৯ লাখ টাকা আয় করেন সেক্ষেত্রে আয়কর খরচ বাঁচাতে হোম লোন ইএমআই আদর্শ বিকল্প হতে পারে’।