বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরিস্থিতিতে ঋণদাতা পরিবর্তন একটি ভুল পদক্ষেপ প্রমাণিত হতে পারে। অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকারী অমিত সুরির বক্তব্য, সুদের হার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে সমস্ত ঋণদাতাই তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: কেরিয়ারের শুরুতেই হোম লোন নেওয়ার পরিকল্পনা? আগে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন!
advertisement
উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের এমসিএলআর ১০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। এরপরেই প্রায় সমস্ত প্রথম সারির ব্যাঙ্কগুলি তাদের সুদের দর বাড়িয়ে দিয়েছে। সুরি আরও বলেন যে এই এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকের কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত। ঋণদাতা পরিবর্তনে কোনও গ্রাহক যদি ৪০ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সাশ্রয় করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
লোনের পরিশোধের মেয়াদের বিষয়টি চিন্তা করা উচিত
MyMoneyMantra.com-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজ খোসলা জানিয়েছে, লোন যদি নতুন হয় এবং মেয়াদ পূর্ণ হতে এখনও ১৫-২০ বছর বাকি থাকে, সেক্ষেত্রে ০.৫ শতাংশ কম হারে সুদ দিতে অনেক টাকা সঞ্চয় করা যেতে পারে। যদি লোন পরিশোধে মাত্র ১-২ বছর বাকি থাকে সেক্ষেত্রে ঋণদাতা পরিবর্তন করতে কত টাকা খরচ করতে হবে তা হিসেব করতে হবে। এই টাকার অঙ্কের সঙ্গে ঋণদাতা পরিবর্তনের ফলে হওয়া সাশ্রয়ের তুলনা করে লাভ-লোকসান বিচার করতে হবে। এছাড়া, নতুন ঋণদাতা কোনও প্রিপেমেন্ট শুল্ক ধার্য করছে কি না তাও হিসেবের আওতায় আনতে হনে।
রাজ খোসলা বলেন, সামান্য পরিমাণ সাশ্রয়ের জন্য ঋণদাতা পরিবর্তন করা উচিত নয়। বিশেষ করে ঋণদাতা সংস্থা যদি ভালো পরিষেবা প্রদান করে সেক্ষেত্রে পরিবর্তন একটি ভুল পদক্ষেপ প্রমাণিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, হোম লোন সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদ ধরে চলে, সেক্ষেত্রে সংস্থা ও গ্রাহকের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক এবং ঋণদাতার দিক থেকে ভালো পরিষেবা থাকা খুবই জরুরি।