এই আবহে মঙ্গলবার বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। গত বছর শিক্ষাখাতে আর্থিক বরাদ্দ ৬ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছিল। তাই এবার বাজেট (Union Budget 2022) বরাদ্দ বাড়ানো হবে, তেমনই আশা করছেন দেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাঁদের দাবি, প্রতি স্কুলে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বাড়তি নজর দিতে হবে।
advertisement
২০২০-২১ অর্থবর্ষে শিক্ষাক্ষেত্রের বাজেট (Education Budget) ছিল ৯৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কমিয়ে ৯৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকা করা হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৬.১৩ শতাংশ কম। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দে এই কোপ পড়ায় চিন্তায় পড়েছিল স্কুল-কলেজ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি, বাজেট কমানোর প্রভাব পড়েছিল শিক্ষাক্ষেত্রেও (Education)। কিন্তু করোনার জেরে লকডাউন এবং দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পড়াশোনা চলায় এখনও তা প্রকট হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার যে নয়া শিক্ষানীতি লাগু করেছে সেই অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনা পয়সায় শিক্ষা, ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হলে শিক্ষাক্ষেত্রে (Education) বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবেই বলেই মত অধিকাংশ শিক্ষাবিদের। তবে করোনাকালের বাজেটে তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দিহান প্রত্যেকেই।
সাধারণ ক্লাস হোক কিংবা পরীক্ষা, করোনায় অনলাইনের উপর নির্ভরশীল গোটা শিক্ষাব্যবস্থাই। ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল পরিকাঠামোকে উৎসাহ দিতে বড়সড় বরাদ্দের আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনলাইন পরীক্ষার জন্য অফিসিয়াল নির্দেশ এবং বেসিক পরিকাঠামো তৈরি করাও জরুরী। কারণ আগামীদিনে অনলাইন পরীক্ষার গুরুত্ব বাড়তে পারে। সরকারকে এড টেক প্লেয়ারদের সঙ্গে মিলে দিকনির্দেশ করতে হবে।এই প্রসঙ্গে গাজিয়াবাদের সিলভারলাইন প্রেস্টিজ স্কুলের এডুকেশন এক্সপার্ট এবং ডিরেক্টর নমন জৈন বলছেন, ‘জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা উচিত। শুধু বুনিয়াদি শিক্ষা নয়, তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতেও বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে। তবেই কর্মসংস্থান হবে’।
আরও পড়ুন - Union Budget 2022: Earn Money: বাজেটের পর এই ৫ স্টকে মিলতে পারে অপ্রত্যাশিত উড়ান, পকেটে ঢুকবে মোটা টাকা
বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা বিশ্বে পরীক্ষা ও নম্বরের তুলনায় দক্ষতার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে ঠিক তার উল্টো ব্যবস্থা। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থাটাই পরীক্ষা এবং নম্বরকেন্দ্রিক। এ থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। প্রয়োজনে বিকল্প মডেল গড়ে তুলতে হবে। বাড়াতে হবে শিক্ষা ঋণের সুযোগ সুবিধা। প্রযুক্তিগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর পক্ষেও মত দিচ্ছেন তাঁরা। তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তি যেমন এআই আর বিগ ডেটার মাধ্যমে নিজের পছন্দের কেরিয়ার বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিলে রাষ্ট্র নির্মাণেও উৎসাহ দেওয়া হবে।