সীমিত আয় করেও যদি কেউ ধনী হতে চান তাহলে এখন থেকেই সঞ্চয় শুরু করতে হবে। উপার্জন এবং সঞ্চয় ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সঞ্চয়ের সর্বোচ্চ রিটার্নই ধনী হওয়ার প্রাথমিক শর্ত।
আরও পড়ুন: বিক্রির নিরিখে হুন্ডাইকে ‘ওভারটেক’, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি কোম্পানি টাটা মোটরস!
ধনী হওয়ার মন্ত্র
একসঙ্গে একাধিক জিনিস করার চেয়ে যে কোনও একটাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত। কোন কাজে সবচেয়ে বেশি দক্ষতা, প্রথমে সেটা বুঝতে হবে। তার পর সেই কাজে নিয়োগ করতে হবে নিজেকে। শিখতে হবে গোটা ব্যাপারটা। তবেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছনো সম্ভব। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, খেলোয়াড় বা বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরা কোটিপতি। কারণ তাঁরা তাঁদের দক্ষতাকে পুরোমাত্রায় ব্যবহার করতে পারেন। তেমনই যদি কেউ কোনও কাজে দক্ষ হন, তবে সেই কাজ থেকেই তিনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
advertisement
কোন বিষয়ে নিজের দক্ষতা সর্বাধিক, তা খুঁজে বের করার পর, সেই ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা ১০ ব্যক্তির তালিকা তৈরি করে নিজের সামনে রাখতে হবে। খুঁটিয়ে দেখতে হবে তাঁদের বিশ্বসেরা হওয়ার কারণ এবং বৈশিষ্টগুলি। সেই অনুযায়ী তৈরি করতে হবে নিজেকে।
আরও পড়ুন: Driving License: অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কী ভাবে আবেদন করবেন জানা নেই? জেনে নিন ধাপে ধাপে!
বিনিয়োগ এবং আরও বিনিয়োগ
যদি কেউ ২৫ বছর বয়স থেকে বার্ষিক ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ শুরু করে তাহলে ৬০ বছর বয়সে সে ৫ কোটি টাকার মালিক হতে পারে। এক্ষেত্রে ১২ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন ধরা হয়েছে। যদি ১০ বছর দেরি হয়, অর্থাৎ ৩৫ বছর থেকে বিনিয়োগ শুরু করে তাহলে একই পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে তাঁকে বার্ষিক ৩.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আর যদি ৪৫ বছর বয়সে কেউ বিনিয়োগ শুরু করে তাহলে ৫ কোটি টাকার মালিক হতে বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাই শুভস্য শীঘ্রম।
আরও পড়ুন: মেয়াদের মধ্যে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে পারেননি? কর জমা দিন এই উপায়ে!
সঞ্চয় বাড়াতে হবে
বার্ষিক সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবেই বড় লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। নাহলে মুদ্রাস্ফীতির গ্যাঁড়াকলে পথ হারাতে হবে। এর সঙ্গে বিনিয়োগের জন্য বাছতে হবে সঠিক জায়গা। তবেই ভালো আয় করা সম্ভব হবে। লাভের আনন্দের চেয়ে ক্ষতির ভয় অনেক সময় মাথায় চেপে বসে। এই ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে।
সময়ের আগে ফান্ড ভাঙালে চলবে না
একটি লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। মাঝপথে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে মুশকিল। যাই হোক, সময়ের আগে যাতে ফান্ড ভাঙতে না হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ্য দিতে হবে। নাহলে টাকার বৃদ্ধি আটকে যাবে।
এটা সম্ভব না হলে লক-ইন বিনিয়োগ করতে হবে।যাতে সময়ের আগে কোনও ভাবেই ফান্ড ভাঙা না যায়। তবে এতে নানা অসুবিধা হয়। এজন্য জরুরি তহবিল বানানোই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ প্রয়োজন হলে ফান্ড না ভাঙিয়ে জরুরি তহবিলের টাকায় কাজ চালাতে হবে। তাহলে বিনিয়োগের টাকা বাঁচবে।