TRENDING:

Chrysanthemum Scientific Method Floriculture: চন্দ্রমল্লিকা চাষে ফুল ফুটবে গাদা গাদা, পাঁশকুড়ার চাষিরা বেছে নিয়েছেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি! কয়েকগুণ বাড়তি লাভের আশা

Last Updated:

ফুল চাষের জন্য খ্যাত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া। শীতের সময় বহুল পরিমাণে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়। চন্দ্রমল্লিকা চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকেরা সাধারণ বুদ্ধিতেই বাজিমাত করছেন। চন্দ্রমল্লিকা চাষে আয় হবে দ্বিগুণ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পাঁশকুড়া, সৈকত শী: ফুল ফুটলে চাষের ঘরে ভাত ফোটে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের খ্যাতি ফুল চাষে। এই খ্যাতি শুধু রাজ্যে নয়, রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশে বিদেশে পাঁশকুড়ার চন্দ্রমল্লিকা ফুল খ্যাতি লাভ করেছে। ফুল চাষকে কেন্দ্র করে একদিকে চাষিদের আর্থিক রোজগার, অন্যদিকে পর্যটন,  দু’ই সম্ভব হয়েছে পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়ায় মূলত চাষ হয় চন্দ্রমল্লিকা ফুলের। মাঠের পর মাঠ চন্দ্রমল্লিকা ফুলে ভরে ওঠে। পাঁশকুড়ার চাষিদের আর্থিক নিরাপত্তা দেয় এই চন্দ্রমল্লিকা চাষ। আয় বাড়াতে চন্দ্রমল্লিকা চাষে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে পাঁশকুড়ার ফুল চাষিরা কৃত্রিম আলোয় হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা চাষ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে মাঠের উপর মাঠে বসেছে মেলা।
advertisement

চন্দ্রমল্লিকা চাষে এক নম্বরে রয়েছে পাঁশকুড়া। পাঁশকুড়ার পৌর এলাকা ও পাঁশকুড়ার গ্রামীণ এলাকার কৃষি জমিতে শীতের সময় অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি সবথেকে অধিক পরিমাণে চাষ হয় চন্দ্রমল্লিকার। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী জানাবাড় উত্তরপলসা দোকান্ডা সহ একাধিক এলাকায় শীতকালীন ফুল হিসেবে চন্দ্রমল্লিকা চাষ পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। হলুদ চন্দ্রমল্লিকা জিরাট বা সাদা মল্লিকা চাষ করে ফুল চাষিরা। শুধু জল বা সার দিয়ে এই ফুলের চাষ হয় না, তার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিদ্যুতের  ল্যাম্প জ্বেলে রাখে ফুল চাষের ক্ষেতে। এই পদ্ধতিতে রাতের বেলায় চারা গাছকে বড় করে তোলা হয়। সঠিক সময়ে গাছের গ্রোথ আনার জন্যই বিদ্যুতের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: বাড়িতে ছোট জায়গা বা ছাদ থাকলেই সবজি চাষ করে হবে আয়! ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে পথ দেখাচ্ছে সিএডিসি

চন্দ্রমল্লিকা গাছকে লম্বায় বড় করার জন্য রাতের বেলায় সাদা বৈদ্যুতিকের আলো ফুলের ক্ষেতে জেলে রাখেন চাষিরা। কারণ গাছ না বেড়ে উঠলে পর্যাপ্ত ফুল পাওয়া যায় না গাছ থেকে।  রাতে আলো জ্বেলে না রাখলে গাছের বৃদ্ধি হয় না।  আর ছোট গাছে খুব তাড়াতাড়ি ফুল ফোটা শুরু হয়ে যায়। যা বাণিজ্যিক ফুল চাষের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। চাষিরা সঠিক সময় এর থেকে অধিক পরিমাণ ফুল পাওয়ার জন্যই চন্দ্রমল্লিকা চাষের জমিতে রাতেরবেলা বৈদ্যুতিক আলোর সাহায্যে জ্বেলে গাছ ধীরে ধীরে বড় করে তোলে। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার গৌরহরিম মাইতি নামে এক চন্দ্রমল্লিকা চাষি জানান, “কৃত্রিম আলোয় গাছ বড় হয়ে ওঠে। ফলে অধিক পরিমাণে ফুল পাওয়া যায়। তাই রাতের বেলা বৈদ্যুতিক আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়।”

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অদূর ভবিষ্যতে AI ছড়ি ঘোরাবে বিশ্বে! ভাল-মন্দ বোঝাতে ১৩০০ ছাত্রীকে নিয়ে হয়ে গেল বড় কর্মযজ্ঞ
আরও দেখুন

পাঁশকুড়ায় ফুল ফুটলেই চাষিদের ঘরে ভাত ফুটে ওঠে। এই চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষের পিছনে বিঘা প্রতি প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা করে ব্যয় করেন চাষিরা। ফুল ফোটার পর এই চন্দ্রমল্লিকা দেশে বিদেশে রফতানি করা হয়। সেখানে চাষিরা লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ পেয়ে থাকে। মল্লিকা চাষে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তাতে ইলেকট্রিক বিলও দিতে হয় চাষিদের। বিশেষভাবে সাদা রংয়ের বাল্ব জ্বলতে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ চাষের জমিতে। রাতে দেখলে মনে হয় এ যেন এক চাষের মেলা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Chrysanthemum Scientific Method Floriculture: চন্দ্রমল্লিকা চাষে ফুল ফুটবে গাদা গাদা, পাঁশকুড়ার চাষিরা বেছে নিয়েছেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি! কয়েকগুণ বাড়তি লাভের আশা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল