সাবান তৈরির ব্যবসা -
এই ব্যবসায় মেশিনের সাহায্যে সাবান তৈরি (Soap Business) করে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। অনেকে আবার হাতেই সাবান তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে। এই ব্যবসার সবথেকে বড় সুবিধা হল ছোট স্তরেও এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সাবান তৈরির ব্যবসা একটি খুবই লাভজনক (Earn Money) ব্যবসা হিসাবে পরিচিত। সাবান তৈরির ব্যবসার মাধ্যমে (Buisness Idea) সহজেই লাভ করা সম্ভব।
advertisement
ভারতে সাবানের বাজারের ক্যাটাগরি
সাবানের বাজারকে তার ব্যবহারের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যেতে পারে।
- লন্ড্রি সাবান (Laundry Soap)
- বিউটি সাবান (Beauty Soap)
- মেডিকেটেড সাবান (Medicated Soap)
- কিচেন সাবান (Kitchen Soap)
- পারফিউমড সাবান (Perfumed Soap)
বাজারের চাহিদার ওপরে ভিত্তি করে যে কোনও ধরনের সাবানের ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন - PM Kisan Samman Nidhi Yojana: প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার ১০ নম্বর কিস্তি তৈরি, কীভাবে টাকা পাবেন
৪ লাখ টাকায় শুরু করা যায় ব্যবসা
বর্তমানে ছোট শহর থেকে শুরু করে বড় শহর, প্রান্তিক গ্রাম ইত্যাদি প্রায় সব জায়গাতেই সাবানের চাহিদা রয়েছে। এর ফলে সাবান তৈরির ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। অনেক কম টাকাতেই সাবান তৈরির কারখানা খোলা যেতে পারে। সাবান তৈরির ব্যবসা (Soap Business) শুরু করার জন্য মোদি সরকারের মুদ্রা স্কিমের মাধ্যমে লোন নেওয়া যেতে পারে। এই মুদ্রা স্কিমের লোনের মাধ্যমে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
আয়ের পরিমাণ
কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা স্কিম প্রোজেক্টের প্রোফাইল অনুসারে ১ বছরে প্রায় ৪ লাখ কিলোর প্রোডাকশন করা সম্ভব। এর মোট ভ্যালুর পরিমাণ প্রায় ৪৭ লাখ টাকা। সাবান তৈরির ব্যবসায় অন্য সকল খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ৬ লাখ টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সাবান তৈরির ব্যবসায় প্রতি মাসে প্রায় ৫০,০০০ টাকার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন - Women In Pakistan: ভিড়ের মধ্যেই চার মহিলাকে করা হল নগ্ন, মারতে মারতে করা হল ভাইরাল ভিডিও
মেশিনের খরচ
সাবান তৈরির ইউনিট লাগানোর জন্য প্রায় ৭৫০ বর্গফিট জায়গার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ৫০০ বর্গফিট জায়গা ঢাকা এবং বাকি জায়গা ঢাকা ছাড়াই দরকার। সাবান তৈরির জন্য প্রায় ৮ ধরনের উপকরণের প্রয়োজন। প্রজেক্ট রিপোর্ট অনুযায়ী সাবান তৈরির মেশিনের জন্য প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে।
ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া যাবে লোন
সাবান তৈরির ইউনিট বসানোর জন্য প্রায় ১৫,৩০,০০০ টাকার খরচ হয়। এর মধ্যে ইউনিটের জায়গা, মেশিন এবং তিন মাসের ব্যাঙ্কিং ক্যাপিট্যাল যুক্ত রয়েছে। এই ১৫.৩০ লাখ টাকার মধ্যে নিজেদের শুধু ৩.৮২ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। বাকি টাকা মুদ্রা স্কিমের মাধ্যমে লোন হিসাবে নেওয়া যেতে পারে।