এই আর্থিক বর্ষের শুরুতে সরকার ক্রিপ্টো সম্পদ বা ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদ (ভিডিএ)-এর জন্য একটি বিশেষ কর ব্যবস্থা চালু করে। ট্যাক্স স্ল্যাবের কর প্রদান ছাড়াও ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীকে সম্পদের বিক্রয় থেকে লাভের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে। এ-ছাড়া, ক্রিপ্টো বিনিয়োগে ক্ষতি হলেও বিক্রয়ের উপর ধার্য করা ট্যাক্স প্রদান করতেই হবে।
advertisement
ইক্যুইটি থেকে আলাদা ক্রিপ্টো ট্যাক্স:
স্টক মার্কেটে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য স্টকের বিপরীতে একটি স্টকের ক্ষতি পূরণ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শেয়ারে লাভ এবং একটিতে ক্ষতি। দুই মিলিয়ে যা লাভ হবে, তার উপর কর প্রদান করতে হবে।
আয়কর আইনে ১৯৪এস নামে নতুন ধারা:
ডিজিটাল সম্পদ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ভারতীয় আয়কর আইনে ১৯৪এস নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সীমার উপরে সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ টিডিএস কর ধার্য করা হবে। কর বিশেষজ্ঞদের মতে, গত আর্থিক বর্ষের জন্য ক্রিপ্টো সম্পদ থেকে লাভের উপরেও কর প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন: চাহিদা তুঙ্গে, তাই থাকে বাম্পার আয়ের সুযোগও! ঘরে বসে এই ব্যবসা করে আপনিও লাভবান হতে পারেন!
আয়ের ভুল রিপোর্টিং
ট্যাক্সম্যান সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নবীন ওয়াধওয়া বলেছেন, যদি কোনও ব্যক্তি ৩১ জুলাইয়ের সময়সীমার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে হওয়া লাভের বিবরণ উল্লেখ করতে ভুলে যান, তবে আয়ের ভুল-রিপোর্টিং বলে গণ্য করা হবে। এই ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে কর ফাঁকির দায়ে ২০০ শতাংশ জরিমানা প্রদান করতে হবে। তার বিরুদ্ধে আইনি মামলাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: বেতন এলেই জলের মতো খরচ! টাকা বাঁচানোর ৮ সহজ উপায় দেখে নিন!
আয়কর ভুল সংশোধন:
আয়কর বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় ক্রিপ্টো সম্পদ উলেখ করেননি, তাঁদের অবিলম্বে রিটার্ন সংশোধন করা উচিত। আয়কর পোর্টালে গিয়ে অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে আয়কর সংশোধনের বিকল্প বেছে রিটার্ন ফাইল পুনরায় ফাইল করা যেতে পারে।
আয়কর আইন ২৩৪এফ ধারা অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্ন ফাইল করতে ব্যর্থ হলে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ফাইন প্রদান করতে হবে। যদি বার্ষিক আয় ৫ লক্ষের কম হয়, তবে ১ হাজার টাকা ফাইন দিতে হবে।