কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কালেকশন লঞ্চ করলেন টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী । ঐতিহ্য, কারিগরি এবং কারুকার্য - এই তিনের মেলবন্ধন চোখে পড়বে দুর্দান্ত এই কালেকশনে। আসলে বাংলার সমস্ত ঘরে প্রতিটি মেয়ের মধ্যে থাকা শক্তি এবং অসীম সাহসকে কুর্নিশ করার জন্যই এই নতুন কালেকশন বাজারে এনেছে বিখ্যাত গয়নার বিপণী তনিষ্ক। আসলে প্রতিটা মহিলার প্রতিফলিত হয় মা দুর্গার রূপ। আর এই দুর্গাপুজোয় তনিষ্ক উদযাপন করবে সেই সব শক্তিশালী এবং প্রাণোচ্ছল মহিলাদের সংগ্রামেকে। তনিষ্কের মতে, প্রতিটি নারীর অগাধ বিশ্বাস রয়েছে মায়ের উপর। তাঁরা এটাও মানেন যে, সেই মা-ই হল তাঁদের ভিতরের সমস্ত শক্তির উৎস। আর এটাই বড় আকারে একটা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ওয়াকিটকির হাতেই তুলি, মা দুর্গার চক্ষুদানে ব্যস্ত ‘কনস্টেবল’ সুকুমার
আবার পুজো মানেই তো কাশ ফুলের মেলা কিংবা শিউলি ফুলের মধুর সুবাস! পুজো মানেই প্যান্ডেল এবং সাবেকি ডাকের বা শোলার সাজ। শুধু তা-ই নয়, পুজোর সঙ্গে আলাদাই সম্পর্ক টেরাকোটা মন্দিরেরও। আর তার সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যও। আসলে এই প্রতিটা বিষয়ই মা দুর্গার আগমনীর আগাম বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়। আর এই উপাদানগুলোই ফুটে উঠেছে ঐশানীর গয়নার নকশায়।
কিন্তু তনিষ্কের ঐশানী কালেকশনে কেমন ধরনের গয়না থাকছে? সূত্রের খবর, এক্সক্লুসিভ ওই কালেকশনে থাকবে সোনার গয়নার বিশাল সম্ভার। আর প্রতিটি গয়নাই নিখুঁত ভাবে গড়েছেন তনিষ্ক কারিগররা। এর মধ্যে থাকছে পুজো প্যান্ডেল এবং ফ্লোরাল মোটিফ বিশিষ্ট চোকার, আইভরি এবং গেরুয়া এনামেলের খোদাই করা শিউলি ফুলের কারুকাজ করা অ্যাডজাস্টেবল টাই-হার, পাকানো তারের কারুকাজ করা কান ইয়ার-রিং প্রভৃতি। এ-ছাড়াও থাকছে ফিলিগ্রি কাজের চুড়ি, যার মধ্যে ফুটে উঠবে সাবেকিয়ানা এবং আধুনিকতার মিশেল। এখানেই শেষ নয়, দুর্গা পুজোর উৎসবকে আরও বর্ণাঢ্য করে তুলতে আকর্ষণীয় অফারও দিচ্ছে তনিষ্ক। সোনা গয়নার মেকিং চার্জ এবং হিরের গয়নার মূল্যের উপর গ্রাহকরা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে চলেছেন। তবে এই অফার কিন্তু সীমিত সময়ের জন্যই প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন- কলকাতায় শেষবারের মতো আসছেন ‘পদ্মের উমা’! অপেক্ষা করছে বড় চমক, বলছেন উদ্যোক্তারা
টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের তনিষ্ক-এর রিজিওনাল বিজনেস ম্যানেজার (পূর্ব) অলোক রঞ্জন বলেন, “আসলে বাংলার ঘরের প্রতিটা মেয়ের মধ্যেই প্রতিফলিত হয় স্বয়ং মা দুর্গার রূপ। তাঁরা দেবী দুর্গার থেকেই শক্তি পান। আর সেই শক্তির মাধ্যমেই মহিলারা নিজেদের জন্য নয়া সুযোগ এবং নতুন ক্ষেত্রে তৈরি করে নিতে পারেন। আমরা বাংলার মহিলাদের এই নির্ভীক রূপকেই কুর্নিশ জানাতে চলেছি আমাদের এই পুজো কালেকশনের মাধ্যমে। বাংলার নারীদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়, আর সেই কাহিনীকেই উদযাপন করছি আমরা। মিমি চক্রবর্তীর কথাই ধরা যাক। যিনি নিজের কেরিয়ারে সাফল্যের চূড়ায় রয়েছেন এবং তাতে স্ব-মহিমায় উজ্জ্বলও বটে। আমাদের পুজো কালেকশন হল তাঁর মতো স্ব-ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নারীদেরই প্রতিফলন। আর উৎসবের উদযাপনে আমরা সূক্ষ্ম ফিলিগ্রি শিল্প, প্রস্ফুটিত শিউলি ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য এবং শঙ্খের স্বর্গীয় ধ্বনি- এই সব বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ঐশানী হল নারীদের অন্তরের শক্তির আভা, যা আগামীকে আরও সুন্দর করে তুলবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর কথায়, “পুজোর জন্য তনিষ্কের এক্সক্লুসিভ ফেস্টিভ কালেকশন আসলে হল উৎসবের উদযাপন। যার পুরোটাই জড়িয়ে রয়েছে বাঙালিদের সঙ্গে। প্রতিটা মেয়ের মধ্যেই একটা ঐশ্বরিক শক্তি রয়েছে। এমনকী আমার মধ্যেও সেই শক্তির প্রতিফলন আছে। তনিষ্কের এই আইডিয়াটাই ভীষণ আকর্ষণীয়।” কলকাতায় যে দু’জন প্রতিমা শিল্পী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন চায়না পাল । তিনি এবং মহিলা ঢাকিদের ব্যান্ড নতুন ভাবে এক সমাজ গড়ার বার্তা দিচ্ছে, যা সব দিক থেকেই সাম্য আনে। মিমি আরও বলেন, “স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল নারীদের কুর্নিশ করার জন্য তনিষ্ক যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আর আগামীতে এটা বহু বাঙালি নারীকে অনুপ্রেরণাও জোগাবে। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি শিউলি ফুল, কাশ ফুল, শোলার কাজ এবং প্যান্ডেলের মতো দুর্গা পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছোট ছোট এই উপাদানগুলি বাঙালিদের মননে আলাদাই স্থান করে নেবে এবং এই পুজোতেও নিশ্চিত ভাবে বিশেষ জৌলুস আনবে বলেই আমার আশা।”