আরও পড়ুন: বাড়ছে এই বিদেশি পাখির প্রতিপালন! মুনাফা কুড়াচ্ছেন কৃষকেরা
জেলার এক আলু চাষি রশিদুর মিঞা জানান, “জেলার একাধিক কৃষক এবারের মরসুমে আলু চাষ করছেন। তবে এখনোও সকলের আলু হিমঘরে তোলা সম্ভব হয়নি। ১০০ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ আলু সম্ভবত হিমঘরে ঢোকানো সম্ভব হয়েছে। তাইতো এই সময়ে যদি বৃষ্টি দেখা দেয়। তবে আলু চাষের প্রচুর ক্ষতি দেখা দেবে। জমিতে থাকা আলু পচে যাবে এবং আলুর দাম বাজারে সঠিক পাওয়া যাবে না। তাই বেশ অনেকটা চিন্তা কাজ করছে বেশিরভাগ কৃষকদের মধ্যে। তবে যদি বৃষ্টি না হয়, তবে আলুর বাজার এবারে ভাল থাকতে চলেছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী দিনে বারুইপুরের পেয়ারা চাষ সঙ্কটে পড়বে বলেই আশঙ্কা চাষিদের, কিন্তু কেন ?
জেলার আরোও দুই আলু চাষি বিজয় মন্ডল ও অসীম চৌধুরী জানান, “বর্তমান সময়ে কৃষকদের বেশ কয়েকটি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় দ্রুত জমি থেকে আলু তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আলু হিমঘর পর্যন্ত আলু পৌঁছতে সময় লাগছে কিছুটা বেশি। এছাড়া আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে আলু চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বহু কৃষক। তাইতো যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত আলু হিমঘরে ঢোকালে কিছুটা চিন্তা মুক্ত হতে পারবেন বহু কৃষক। বর্তমানে তাই আশায় বুক বেঁধে নীরবে দ্রুত আলু তোলার কাজ করে চেলেছেন বেশিরভাগ কৃষক।”
এখনোও পর্যন্ত আলুর যা দাম রয়েছে। সেই দাম অব্যাহত থাকলে কৃষকদের মুনাফা হবে এটুকু নিশ্চিত। যদি আবহাওয়ার খামখালিতে আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অনেকটাই বিপদে পড়তে পারেন বহু কৃষক। বর্তমান সময়ে তাই অনেকটাই দুশ্চিন্তার মাঝে রয়েছেন জেলার বহু আলু চাষিরা।
Sarthak Pandit