মুদ্রাস্ফীতি -
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে ভারতে বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতি। এর ফলে ভারতে বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে যেতে পারে। রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপরেও গভীর প্রভাব বিস্তার করতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ।
আরও পড়ুন: চাকরিজীবীদের জন্য বিরাট খবর! বাড়তে পারে Retirement-এর বয়স ও Pension-এর টাকা
ঘাটতি -
advertisement
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে ভারতে বাড়তে পারে ঘাটতি। চলতি আর্থিক বর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যের ঘাটতি প্রায় ৬০০ আরব আমেরিকান ডলার পার করে যেতে পারে। চলতি আর্থিক বর্ষের শুরুতে এর পরিমাণ ছিল ৪৯২.৯ আরব আমেরিকান ডলার। এর থেকেই পরিষ্কার যে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কীভাবে ঘাটতি বাড়াতে পারে। বিশ্ব বাজারে বেড়ে চলেছে তেলের দাম। এর প্রভাবও ভারতে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের রাশ থাক হাতে, জানুন অনলাইনে চেক পেমেন্ট বন্ধ করার উপায়!
ক্রুড অয়েলের ক্ষতি -
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে ক্রুড ওয়েলের দাম তেজ গতিতে বেড়ে চলেছে। ক্রুড ওয়েলের দাম পৌঁছে গিয়েছে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার। এর ফলে ভারতের মাথায় এর বোঝা এসে চাপবে। কারণ ভারত তেলের অধিকাংশই আমদানি করে থাকে। ভারতের মাথায় চাপতে পারে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বোঝা। কারণ বেড়ে যাওয়া তেলের দামেই ভারতকে তেল ক্রয় করতে হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী এই যুদ্ধ যদি বেশ কিছুদিন ধরে চলে তাহলে ভারতের অনেকটাই ক্ষতি হতে পারে। আগামী আর্থিক বর্ষে ভারত সরকারের রাজস্বে প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ১ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
প্রতি মাসে প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি -
জাপানি কোম্পানি নোমুরা জানিয়েছে যে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে এশিয়ার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতি ভারতের। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আর্থিক বিশেষজ্ঞ সৌম্যকান্তি ঘোষের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকেই কাঁচা তেলের দাম ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছে। এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে এই দাম আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: এক মুহূর্তেই মালামাল? মাত্র ২ টাকার বিনিময়ে পেতে পারেন ৫ লক্ষ টাকা!
কৃষিজাত দ্রব্যের বড় নিয়ন্ত্রক ইউক্রেন -
সোনা, প্ল্যাটিনাম এবং বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান ধাতুর দাম বেড়ে যেতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে। কারণ ইউক্রেনে এই ধরনের ধাতু বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এছাড়াও ইউক্রেন থেকে আমদানি আটকে গেলে বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে যেতে পারে। জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৬.০১ শতাংশ ছিল। এটি বিগত ৭ মাসে সবথেকে বেশি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের দিন আরও বাড়তে থাকলে এই মুদ্রাস্ফীতি ক্রমাগত হারে বাড়তে থাকবে। এর ফলে এই যুদ্ধ অনেকটাই ক্ষতি করছে ভারতের।