আসলে ২০০০ টাকার নোট জমা করানোর জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে পারে ব্যাঙ্কে। এতে দৈনিক স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে। এই কথা মাথায় রেখেই আগামী ২৩ মে, ২০২৩ তারিখ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত যে কোনও ব্যাঙ্কে ২ হাজার টাকার নোট জমা করার নিয়ম চালু করা হল। এক দিনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জমা করা যাবে। শুধুমাত্র ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখা নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি রিজিওনাল অফিসের ইস্যু ডিপার্টমেন্টেও এই সুবিধা দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: এই যুবকের জীবন পাল্টে দিয়েছিল ২০০০ টাকার নোট, কীভাবে জেনে নিন
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। ফলে অর্থনীতিতে দ্রুত মুদ্রার প্রয়োজন মেটাতে চালু করা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। ফলে ওই সময়েই এই নোট বাজারে আসে। বর্তমানে অন্যান্য মূল্যের ব্যাঙ্ক নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে রয়েছে। তাই ২০০০ টাকার নোট চালু করার উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে বলেই মনে করছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে ২০১৮-১৯ সাল থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট প্রায় দেখা যাচ্ছিল না বললেই চলে। অনেকে অভিযোগ করছিলেন যে, এটিএম থেকেও ২ হাজার নোট আর বার হচ্ছে না। এই বিষয়ে সংসদে তথ্যও দেয় সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২ হাজার টাকার একটা নোটও ছাপা হয়নি। ফলে বাজারে ২০০০ টাকার নোটের প্রচলন কমেছে।
এই নোটের প্রায় ৮৯ শতাংশই ২০১৭ সালের মার্চের আগেই জারি করা হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। প্রায় ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। প্রচলিত নোটগুলোর মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ছিল ৩৭.৩ শতাংশ। ধীরে ধীরে ২ হাজার টাকা নোটের লেনদেন কমেছে। বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকায়। চলতি বছরের ৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী, বাজারে প্রচলিত ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৮ শতাংশে। এমনটাই জানিয়েছে আরবিআই।