এক কথায় এর উত্তর হল, হ্যাঁ। যদি নিচের ৯টি মানদণ্ডের মধ্যে একটিও পূরণ হয় তাহলে আয় থ্রেশহোল্ড সীমার নিচে হলেও সেই ব্যক্তিকে আইটিআর দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: কয়েক মাসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১৮৭২টি বাড়ি তৈরি হবে, আপনিও আবেদন করতে পারেন
বিক্রি ৬০ লাখ বা তার বেশি হলে: যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক মোট বিক্রয়, টার্নওভার বা ব্যবসায় মোট প্রাপ্তি ৬০ লাখ টাকা বা তার বেশি হয় তাহলে তাঁকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
advertisement
পেশাদারদের আয় ১০ লাখ টাকার বেশি হলে: পেশাদারদের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বছরের মোট রাজস্বের যোগফল ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই আইটিআর ফাইল করতে হবে।
টিডিএস বা টিসিএস ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে: এক অর্থবর্ষে টিডিএস বা টিসিএস ২৫ হাজার টাকা বা তার বেশি হলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এই নিয়ম প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যদি তাঁদের সম্মিলিত টিডিএস বা টিসিএস প্রতি আর্থিক বছরে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি হয়।
অ্যাকাউন্টে এক বছরে ৫০ লাখ টাকা জমা করলে: এক বছরে এক বা একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা জমা করলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর আইন ১৯৬১-এর ধারা ১৩৯(১)-এর স্তম বিধানের অধীনে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলি হল –
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমা থাকলে: ব্যাঙ্ক বা সমবায় ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি বা তার বেশি টাকা জমা থাকলে আইটিআর দাখিল করতে হবে।
১২ লাখ টাকার বেশি খরচ করে বিদেশ ভ্রমণ: যদি কেউ নিজের বা অন্য ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১২ লাখ টাকা বা তার বেশি খরচ করে তাহলে তাঁকে আইটিআর ফাইল করতে হবে।
১ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল: যদি কেউ একক বিলে ১ লাখ টাকা বা এক অর্থবর্ষে ১ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন তাহলে তাঁকেও আইটিআর ফাইল করতে হবে।
বৈদেশিক উৎস থেকে আয়: সাধারণ আবাসিক ব্যক্তি বিদেশি উৎস থেকে আয় করলে আইটিআর ফাইল করতে হবে।
মোট আয় ছাড়ের চেয়ে বেশি হলে: ব্যক্তির মোট আয় থ্রেশহোল্ড সীমার চেয়ে বেশি হলে আইটিআর ফাইল করতে হবে।