এই ৭টি পদক্ষেপ অনুসরণ করলে কাটা হবে না কোনও ট্যাক্স-
যাঁদের বয়স ৬০ বছরের কম এবং বার্ষিক আয় ১০.৫ লক্ষ টাকা, তারা ট্যাক্সের ৩০% স্ল্যাবের মধ্যে পড়বেন।
১। প্রথমে মোট বার্ষিক আয় থেকে ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসেবে সরিয়ে নিতে হবে কারণ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই টাকায় কোনও কর ধার্য করা হয় না।
advertisement
করযোগ্য আয়- (১০,৫০,০০০০-৫০,০০০) টাকা = ১০,০০,০০০ টাকা।
২। ভারতীয় কর আইনের 80C-এর অধীনে ইপিএফ (EPF), পিপিএফ (PPF), ইএলএসএস (ELSS) এবং এনএসসি (NSC)-তে বিনিয়োগ করে ১.৫ লক্ষ টাকার ওপর ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে। এর মধ্যে সন্তানের শিক্ষার খরচও যুক্ত করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বদলাতে পারবেন নমিনি ? দেখে নিন কী করতে হবে.....
করযোগ্য আয়- (১০,০০০,০০০- ১,৫০,০০০) টাকা = ৮,৫০,০০০ টাকা।
৩। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) প্রকল্পে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা লগ্নি করে ওই পরিমান আয়কে ইনকাম ট্যাক্স আইন ৮০CCD (1B)-এর আওতায় করমুক্ত করা যেতে পারে।
করযোগ্য আয়- (৮,৫০,০০০-৫০,০০০) টাকা = ৮,০০,০০০ টাকা।
৪। যাঁরা হোম লোন নিয়ে নিয়মিত মাসিক কিস্তি পরিশোধ করেন তাঁরা আয়কর আইন 24B-এর অধীনে ২ লক্ষ টাকার সুদে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।
করযোগ্য আয়- (৮,০০,০০০-২,০০,০০০) টাকা = ৬,০০,০০০ টাকা।
৫। ভারতীয় আয়কর ধারা ৮০D অনুযায়ী, স্ত্রী, সন্তান এবং নিজের স্বাস্থ্য বিমার ওপর ২৫ হাজার টাকা এবং বাবা-মায়ের জীবন বিমার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার ওপর সরকার কোনও কর ধার্য করে না। অর্থাৎ, মোট এই ক্ষেত্রে মোট ৭৫ হাজার টাকার ওপর ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: এখনও আসেনি কিস্তির টাকা ? এই তারিখে অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হবে টাকা ....
করযোগ্য আয়- (৬,০০,০০০-৭৫,০০০) টাকা = ৫,২৫,০০০ টাকা।
৬। কোনও সংস্থায় অনুদান বা সমাজকল্যাণ মূলক খরচার জন্য ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট ৮০G-এর অধীনে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করা যায়। এখানে বলে রাখা ভালো, এই ২৫ হাজার টাকার ওপর ট্যাক্স ছাড় পাওয়ার জন্য অনুদানের রসিদ বা যথাযথ প্রমাণ দেখাতে হবে।
করযোগ্য আয়- (৫,২৫,০০০-২৫,০০০) টাকা = ৫,০০,০০০ টাকা।
৭। অবশেষে হাতে করযোগ্য আয় পড়ে থাকে ৫ লক্ষ টাকা। ৫ লক্ষ টাকার ট্যাক্স হবে ১২,৫০০ টাকা (২.৫ লক্ষ টাকার ৫%)। যেহেতু ৫ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ১২,৫০০ টাকা সরকারি ছাড় প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে অবশেষে প্রদত্ত করের পরিমাণ দাঁড়ায় শূন্য!