গোল্ড কয়েন বা সোনার মুদ্রা:
যাঁরা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সোনা কিনতে চাইছেন, তাঁরা গয়নার জায়গায় গোল্ড কয়েন কিনতে পারেন। সোনা কেনার সময় গ্রাহকের নিশ্চিত করে নেওয়া উচিত যে, সোনা কতটা খাঁটি। ছোট্ট ভুলের কারণে গ্রাহকের অনেক টাকার লোকসান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এই ধনতেরসে গ্রাহকদের সোনা কেনার সময় নিশ্চিত করে নেওয়া উচিত যে, তাঁরা ২২ ক্যারেটের খাঁটি সোনাই কিনছেন।
advertisement
ডিজিটাল গোল্ড:
যে সমস্ত গ্রাহকরা সোনায় বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু একবারে অনেক টাকা জোগাড় করতে পারছেন না, তাঁরা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে হাতে সোনার জায়গায় লগ্নিকারির অ্যাকাউন্টে ইউনিট হিসেবে ডিজিটাল গোল্ড জমা রাখা হবে। গ্রাহক গুগল পে কিংবা ফোনপে জাতীয় অ্যাপে ডিজিটাল গোল্ড কিনে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ধনতেরসে এখানে বিনিয়োগ করলে রয়েছে মালামাল হওয়ার সুযোগ! মিলবে সোনার মতো ভরসা
গোল্ড ইটিএফ:
এই ধনতেরসে যাঁরা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা গোল্ড ইটিএফ-কে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ইটিএফ অর্থ হল এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। স্টক মার্কেট খোলার সময় যে কোনও বিনিয়োগকারী গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারবেন। শুধুমাত্র তাঁকে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
আরও পড়ুন: ধনতেরসে সোনা কিনতে চান? কীভাবে চিনবেন খাঁটি সোনা? জানুন ২৪, ২২, ১৮ এবং ১৪ ক্যারেটের ফারাক!
গোল্ড ফান্ড:
যাঁদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট নেই এবং নিজে থেকে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নন, তাঁরা গোল্ড ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যান্য মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই গোল্ড ফান্ডও সোনার বিভিন্ন বিকল্পে বিনিয়োগ করে থাকে, যার মধ্যে প্রধান হল গোল্ড ইটিএফ। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে কোনও কাস্টমস ডিউটি বা জিএসটি দিতে হয় না।
গোল্ড বন্ড:
সোনায় বিনিয়োগ করার আরও একটি বিকল্প হল সভেরিন গোল্ড বন্ড। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী সরকার দ্বারা জারি করা সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করেন। সহজ ভাষায়, সভেরিন গোল্ড বন্ড হল সরকার দ্বারা জারি করা এক ধরনের ডিজিটাল গোল্ড। সরকার এই বন্ডের উপর বার্ষিক ২.৫০ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করে।