সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত ওই রিপোর্ট অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে আগামী পাঁচ বছরে ব্যাঙ্কে কর্মীর চাহিদা কমবে ৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলা, জমা কিংবা টাকা পাঠানোর কাজ মেটানো এখন অতীতের কথা ৷ এটিএম-এর পর ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের দৌলতে মানুষ ব্যাঙ্কে সশরীরে না গিয়েই সমস্ত কাজ সারতে অভ্যস্ত ৷ ফলে ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগের সুযোগ ক্রমশ কমবে ৷
advertisement
বছর বছর ব্যাঙ্কে শূন্যপদে নিয়োগের প্রচুর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং বহু চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিতও করা হয় ৷ রিপোর্টটিতে দাবি করা হয়েছে, দেশে এখনও বহু মানুষ আছে, যারা ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে টেকনোলজিকে বিশ্বাস করে না এবং অনেকেই এটিএম বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় অভ্যস্ত নন ৷ এই সব মানুষগুলিকে সঠিক পরিষেবা দিতেই এখনও ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন পড়ছে ৷
রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে রিপোর্টটিতে দাবী করা হয়েছে আগামী ৫ বছরে দেশের মানুষ এতটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বেন যে ব্যাঙ্কে কর্মী চাহিদা ৩০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পাবে ৷ বিশ্বের বৃহত্তম ফার্ম ওয়াল স্ট্রিট ইতিমধ্যেই মেশিন অপারেশন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সহ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে ৷ যার ফলে রেকর্ড আপডেট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি কোনও কর্মী ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব হবে ৷
মার্চ ২০১৬ সালের প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ায় কর্মী চাহিদা কমছে ৷ ২০১৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকায় ৭,৭০,০০০ মানুষকে ও ইউরোপে ১০ লাখ মানুষকে চাকরি হারাতে হবে ৷