তবে পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ডাটার বিস্তৃতি কেবল জেলাতে সীমাবদ্ধ নেই। এর মিষ্টি স্বাদের গুনে, এই ডাটা সমাদৃত ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশের মাটিতেও। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে নাকিএর চাহিদা তুঙ্গে। যার জেরে কাটোয়ার ডাটা এক আলাদা স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। কিন্তু জানেন কোথায় চাষ হয় এই ডাটা? কাটোয়ার কোন জায়গার ডাটা সুস্বাদু?
advertisement
আরও পড়ুন – Health Tips: শরীর হবে একবারে চাঙ্গা, হাতের মুঠোয় সব শক্তি, খালি বছরে একবার করান এই কাজ
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া- ১ ব্লকের আলমপুর গ্রামে চাষ হয় এই ডাটা। বাইরের বাজারে, যা কাটোয়ার ডাটা নামে পরিচিত হলেওস্থানীয় মানুষদের কাছে এর পরিচিতি আলমপুরের ডাটা নামেই।
পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এই ডাটা চাষ করে আসছেন এখানকার চাষিরা।এই এলাকার কৃষকদের মতে, মাটির গুন এবং জৈব সারের জোরেই নাকি আলমপুরের ডাঁটার এই স্বাদ।চন্ডিচরণ ঘোষ বলেন, \”ডাটা চাষ তাঁরা ছোট থেকে দেখছেন। তবে কবে থেকে এই চাষ শুরু হয়েছে , তাঁরাও সঠিক বলতে পারবেননা বলে জানান। তিনি বলেন তাঁদের ডাটা চাষ ভালই হয়। আর ফলন হয়ে যায় মাত্র ২-৩ মাসের মধ্যেই। আর বীজ তাঁরা নিজেরাই তৈরি করেন।\”এই ডাটা চাষ করে খুশি ননউক্ত এলকার কৃষকেরা। সর্বস্তরে সমাদৃত, কাটোয়ার ঐতিহ্য এই ডাটা চাষে লাভবান হন না কৃষকেরা। কাজল মন্ডল বলেন, \” তাঁদের ডাটা পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু জায়গাতেই বিক্রি হয়। তবে অন্যান্যরা তাঁদের ডাটার নাম ভাঙিয়ে অন্য ডাটা কাটোয়ার ডাটার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তাঁদের আলমপুরের ডাটা ( কাটোয়ার ডাটা ) সেই জায়গায় পৌঁছায় না।\”
এর পাশাপাশি আরও এক বড়সমস্যার সম্মুখীন আলমপুরের ডাটা চাষিরা। দীর্ঘদিন দিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে তাদের সাবমার্সিবল। যার জেরে ব্যাঘাত ঘটছে ডাটা সহ অন্যান্য চাষে। বেশি দাম দিয়ে জলের ব্যবস্থা করে চাষ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বেড়ে যাচ্ছে চাষের খরচও। অভিযোগ, এই বিষয়ে চাষিরা নির্দিষ্ট দফতরে আবেদন জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি।
রাজ্য,ভিন রাজ্য তথা পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দেশে কাটোয়ার ডাটা কার্যত ব্র্যান্ডে পরিনত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যেরই একধিক জায়গায় বিখ্যাত মন্দিরে ভগবানের ভোগের অন্যতম একটি পদ কাটোয়ার ডাটা। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ যারা আসল কাটোয়ার ডাটা উৎপন্ন করছেন, হাসি নেই তাদের মুখে।
Banowarilal Chowdhary