বাজারে সেরকমই এক নতুন ধরণের জালিয়াতির সন্ধান পেল পুলিশ। নাম ‘জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যাম’। এই নিয়ে আমজনতাকে সতর্ক করেছে সাইবার ডিপার্টমেন্ট। এখন প্রায় সবাই UPI ব্যবহার করেন। তাঁদেরকেই টার্গেট করছে জালিয়াতরা।
জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যামে প্রতারকরা প্রথমে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করে। তারপর এসএমএস পাঠায়। এতে লিঙ্ক থাকে। ইউজার লিঙ্কে ক্লিক করে যখনই ইউপিআই পিন দেন, তৎক্ষণাৎ অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস চলে যায় প্রতারকদের হাতে। ব্যস, পুরো টাকা লুট হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বার্ষিক ১৫ লাখ টাকা আয়? বড়সড় স্বস্তি মিলতে পারে বাজেটে, কী পরিকল্পনা করছেন অর্থমন্ত্রী? রইল বিশদে
স্ক্যাম থেকে বাঁচার উপায়: প্রতারণার কৌশল যতই নতুন হোক না কেন, লিঙ্ক তাতে থাকবেই। বাঁচার একমাত্র উপায় হল, কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করা। এমনটাই বলছে সাইবার পুলিশ। সঙ্গে ইউপিআই পিন নিরাপদে রাখতে হবে। যেন অচেনা কারও হাতে না পড়ে।
ভুলেও অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক নয়: অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ বা লিঙ্ক এলে ভুলেও ক্লিক করা চলবে না। বড় ক্ষতি হতে পারে।
অযাচিতভাবে টাকা ঢোকা সন্দেহজনক: অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা ঢুকলে খুশি হওয়ার কিছু নেই। বরং এই ঘটনাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখাই উচিত। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
নিরাপদে রাখতে হবে ইউপিআই পিন: ইউপিআই পিন অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। তিনি যতই পরিচিত হোন না কেন। আর অপরিচিত হলে তো কথাই নেই। মাথায় রাখতে হবে, ইউপিআই পিন একান্ত ব্যক্তিগত জিনিস। কোনও ভাবেই যেন অন্য কারও হাতে না পড়ে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে মহিলাদের জন্য আদর্শ এই ৫ স্কিম, রয়েছে বিপুল মুনাফার সুযোগ, জেনে নিন
তৎক্ষণাৎ ব্যালেন্স চেক করা যাবে না: কোনও সন্দেহজনক লেনদেন ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যালেন্স চেক করা ঠিক নয়। অন্তত আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। নাহলে ইউপিআই পিন বেহাত হয়ে যেতে পারে।
ব্যাঙ্ককে জানানো উচিত: অচেনা কেউ যদি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ককে জানাতে হবে।
পিন, ওটিপি কিংবা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। যদি কেউ নিজেকে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে তাহলেও নয়। জাম্পড ডিপোজিট স্কিমের শিকার হলে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে অথবা নিকটবর্তী সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। সময়মতো অভিযোগ জানালে বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।