ন্যাসডাক তালিকাভুক্ত কোম্পানি কয়েনবেস জানিয়েছিল, তারা খুব শীঘ্রই ইউপিআই-এর মাধ্যমে টাকা দিয়ে ক্রিপ্টো কেনার সুবিধা চালু করবে। ৭ এপ্রিল একটি মেগা ইভেন্টে এই ঘোষণা করা হয়। এরপরই ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, ইউপিআই ব্যবহার করে ক্রিপ্টো লেনদেন সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়।
আরও পড়ুন - IPL 2022: হাতে ধরা দীনেশ কার্তিকের ক্যাচ, তারপরে ধাঁই করে মাঠে পড়ে গেলেন জাদেজ, কেন?
advertisement
কয়েনবেসের অ্যাপেও ইউপিআই থেকে ক্রিপ্টো কেনার কোনও বিকল্প এখনও পর্যন্ত আসেনি। ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র আইএমপিএস পদ্ধতির মাধ্যমেই ক্রিপ্টো বিক্রি করতে পারছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে মোবিকুইক ওয়ালেট-ও ক্রিপ্টোর লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। এর এখন প্রধান ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সঙ্গে অংশীদারিত্বে রয়েছে। শুধুমাত্র কয়েকটি এক্সচেঞ্জ ব্যাঙ্ক ট্রান্সফরের মাধ্যমে ক্রিপ্টো ট্রেড করার অনুমতি দিচ্ছে। এরপরই জানা যায়, ভারতে সামগ্রিকভাবে ক্রিপ্টো ট্রেডিং ভলিউম হ্রাস পেয়েছে।
এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে অর্থনীতির চাকা এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি। এর মধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ ট্যাক্সের ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র মারফত খবর, ‘শুধুমাত্র ফিনান্স এক্সচেঞ্জগুলিই পরবর্তী কয়েক মাস টিকে থাকবে। কারণ ট্রেডিং ভলিউম সামগ্রিক ভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা রাজস্বের একটা প্রধান উৎস’।
ভারতে সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারের বহর বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে ডিজিটাল সম্পদের লেনদেনের উপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে বাজেট পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বলেন, 'ক্রিপ্টো দুনিয়ার যাঁরা মুনাফা লাভ করছেন, তাঁদের থেকে কর নেওয়া হবে। তাঁদের উপর কর ধার্য করার জন্য কোনও আইনের প্রয়োজন নেই।' ১ এপ্রিল থেকে সেই কর লাগু হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ এপ্রিল ক্রিপ্টো ট্যাক্স কার্যকর হওয়ার পর থেকেই ক্রিপ্টো ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায় ভাঁটা শুরু হয়েছে। ভারতের শীর্ষ ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জে লেনদেনের পরিমাণ প্রথম দুই দিনে ৫৫ শতাংশ কমেছে। যেখানে ডোমেন ট্র্যাফিক কমেছে ৪০ শতাংশ। শিল্প সূত্রের মতে, এনপিসিআই-এর অবস্থান হল ইউপিআই ক্রিপ্টো কেনাকে সমর্থন করে না। যার ক্ষতি পোহাতে হচ্ছে।